নতুন ‘রেড লাইন’ এঁকে দিল ভারত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের বার্তা দিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান। শনিবার সিঙ্গাপুরে শাংরি-লা ডায়ালগ সিকিউরিটি সামিটে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুরে ভারত একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে-সন্ত্রাসে জড়িতদের আর ছাড় নয়। তাঁর বিশ্বাস, আগামিদিনে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোবে পাকিস্তান।
৭ মে অপারেশন অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান থেকেও পাল্টা হামলা হয়। ভারতও তার প্রত্যুত্তর দেয়।
চার দিন ধরে এই সামরিক সংঘর্ষ চলে। ১০ মে, দুই দেশ সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের সিদ্ধান্তে নেয়।
কিন্তু এই সংঘর্ষ থেকে ভারত কী অভিজ্ঞতা অর্জন করল? উত্তরে জেনারেল চৌহান জানান, এই অপারেশনে ভারত অন্য দেশের নিজস্ব প্রযুক্তি ও প্ল্যাটফর্মও সফলভাবে ব্যবহার করেছে।
সিডিএস জানান, ভারত পাকিস্তানের ৩০০ কিমি গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করে নির্ভুলভাবে এয়ার ডিফেন্স টার্গেট করেছে। পাকিস্তানের ভিতরে থাকা এয়ারবেস এবং স্ট্রাকচারও টার্গেট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এখন বেশ স্পষ্ট। এই স্পেশাল অপারেশন থেকে শত্রুরাও যে শিক্ষা নেবে, তা প্রায় হলফ করেই বলা যায়। ভারতের ধৈর্য্যের সীমা যে কতটা, তার স্পষ্ট ধারণা হয়ে যাবে শত্রুদের।
CDS চৌহান জানান, ভারত গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই প্রক্সি ওয়ার সহ্য করছে। অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন। এবার এই যুদ্ধের শেষ করার সময় এসেছে।
সিডিএস পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভুয়ো দাবি খারিজ করে জানান, ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি ভিত্তিহীন।
গান্ধীনগরের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধ হয়েছে, তিনবারই ভারত জিতেছে। তাই এবার পাকিস্তান প্রক্সি ওয়ার শুরু করে। তিনি জানান, ৬ মে-র পর যেভাবে পাকিস্তানে জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে কফিনে পতাকা লাগানো হয়েছে, তাতে একটাই জিনিস প্রমাণ হয় যে—এটা আর প্রক্সি ওয়ার নয়, সরাসরি যুদ্ধ পরিস্থিতির ইঙ্গিত। এর জবাবও যুদ্ধের ভাষাতেই দেওয়া হবে।