E-Census India:দেশে কীভাবে হবে ই-সেনসাস? জানুন জনগণনার পুরো প্রক্রিয়া

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবার ই-শুমারি করার ঘোষণা করেছেন। অসমে  অমিত শাহ জানিয়েছেন, এবারের আদমশুমারি হবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক। তিনি আরও দাবি করেন যে এটি '১০০% নির্ভুল' হবে এবং আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি উন্নয়ন পরিকল্পনার দিকে নিয়ে যাবে।

কীভাবে এবং কখন ই-শুমারি পরিচালিত হবে? শাহ এ বিষয়ে তথ্য দেননি, তবে তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যা ই-শুমারির একটি নীলনকশা দেয়।

ই-শুমারি কিভাবে করা হবে? 
একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এতে আদমশুমারি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও প্রস্তুত থাকবে। এর সাহায্যে মানুষ ঘরে বসেই তাদের ডেটা আপডেট করতে পারবে। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা অর্থাৎ ৫০% মানুষ অ্যাপটির সাহায্যে নিজেরাই তাদের ডেটা পূরণ করতে সক্ষম হবে।

এতে কি লাভ হবে?
 আদমশুমারির সঙ্গে জন্ম থেকে মৃত্যুর তারিখ যুক্ত করা হবে। সন্তানের জন্মের সঙ্গে  তারিখটি জনগণনা কার্যালয়ে লিপিবদ্ধ করা হবে। ১৮  বছর বয়সে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটাধিকার পাবেন এবং যখন তিনি মারা যাবেন, তখন তার ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।

এতে সরকারি অফিসে চক্কর কাটা  এড়ানো যাবে। নাম ঠিকানা পরিবর্তন করা সহজ হবে। 

লক্ষ্য ২০২৪  সালের মধ্যে ই-শুমারিতে প্রতিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা। অর্থাৎ এর পর দেশের আদমশুমারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে  হয়ে যাবে।

এছাড়া অন্য শহরে বসবাসের জন্য বাড়ি কিনলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই শহরে ভোটাধিকার পাবেন। আগামী ২৫ বছরের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করাও সহজ হবে সরকারের।

এতে কত খরচ হবে? 
আমাদের দেশে প্রথমবারের মতো ই-শুমারি করা হবে। এই প্রথম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের ডেটা সংগ্রহ করা হবে। এটা কত খরচ হবে? এ বিষয়ে এখনো কিছু পরিষ্কার নয়। কিন্তু ২০২৯ সালে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২১ সালের আদমশুমারির জন্য ৮,৭৫৪  কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল।

ভারতে কবে থেকে আদমশুমারি হচ্ছে? 
আমাদের দেশে ১৮৬৫ সাল থেকে আদমশুমারি শুরু হয়েছে। ১৮৬৫  থেকে ১৯৪১  সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আদমশুমারি পরিচালিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সাল থেকে প্রতি ১০ বছর পর পর আদমশুমারি করা হচ্ছে।

স্বাধীনতার পর থেকে ৭ বার আদমশুমারি পরিচালিত হয়েছে। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে। এরপর ২০২১ সালে আদমশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা স্থগিত করা হয়।