Advertisement

জাপানকে বড় ঝটকা চিনের, ভারতের জন্য় দারুণ সুযোগ, US ট্যারিফের নো-টেনশন

চিনের এই ঘোষণা বাজারেও স্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে। তেলঙ্গানার আভান্তি ফিডসের শেয়ার একদিনে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, যা গত দু’মাসে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি। কোস্টাল কর্পোরেশনের শেয়ারও প্রায় ৫ শতাংশ উঠেছে। সংস্থাটি আমেরিকার বাণিজ্যিক বাধা এড়াতে আগে থেকেই চিনের বাজারে আরও প্রসারিত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 20 Nov 2025,
  • अपडेटेड 11:24 PM IST

জাপানের সামুদ্রিক খাদ্য আমদানিতে হঠাৎ কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে বড় ধাক্কা দিল চিন। এই সিদ্ধান্তে জাপানি রফতানিকারকেরা চাপে পড়লেও ভারতীয় সি-ফুড ব্যবসায়ীদের সামনে খুলে গেল নতুন দরজা।

মার্কিন শুল্কের চাপে এতদিন বিপাকে ছিলেন ভারতীয় সি-ফুড রফতানিকারকেরা। যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় চিংড়ি ও মাছের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর পর রফতানি অনেকটাই কমে গেছিল। ঠিক সেই সময়ই চিনের এই নিষেধাজ্ঞা নতুন করে আশার আলো দেখাল ভারতের।

চিনের এই ঘোষণা বাজারেও স্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে। তেলঙ্গানার আভান্তি ফিডসের শেয়ার একদিনে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, যা গত দু’মাসে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি। কোস্টাল কর্পোরেশনের শেয়ারও প্রায় ৫ শতাংশ উঠেছে। সংস্থাটি আমেরিকার বাণিজ্যিক বাধা এড়াতে আগে থেকেই চিনের বাজারে আরও প্রসারিত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

আরও পড়ুন

জাপানের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বেশ কঠিন। দুই বছর আগে ফুকুশিমা জল নিষ্কাশন বিতর্কের কারণে রফতানি বন্ধ ছিল। ফের শুরু হওয়ার পর আবারও চিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় জাপানি সি-ফুড শিল্প বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। জাপানের মোট রফতানির মাত্র ১ শতাংশ সি-ফুড হলেও এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাজার ছিল চিন, যেখানে তারা ২০-২৫ শতাংশ পণ্য পাঠাত।

ভারতের জন্য পরিস্থিতি উল্টো। মার্কিন বাজারে চাহিদা কমে রফতানি ৯ শতাংশ নেমে গিয়েছিল, কিন্তু চিন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের মতো এশীয় বাজারে ভারতীয় সি-ফুডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। গত অর্থবর্ষে ভারত প্রায় ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সি-ফুড রফতানি করেছে, যার বড় অংশই ছিল হিমায়িত চিংড়ি ও বিভিন্ন ধরনের মাছ।

সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ সালে ভারতের রফতানি পরিমাণ পৌঁছেছে সর্বকালের রেকর্ড ১.৭৮১ মিলিয়ন মেট্রিক টনে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং চিন, সব বড় বাজারেই পণ্য গেছে। বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় কেন্দ্র ইতিমধ্যেই শ্রমনির্ভর রফতানি খাতগুলির জন্য ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার সহায়তা অনুমোদন করেছে, যার বড় অংশ বরাদ্দ হয়েছে চিংড়ি খাতের উন্নয়নে।

Advertisement

সব মিলিয়ে চিনের নিষেধাজ্ঞা ভারতের সামনে বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। জাপানের বাজার সংকুচিত হলেও ভারতীয় সি-ফুডের জন্য নতুন দরজা খুলে গেছে এশীয় অঞ্চলে। ফলে আগামী দিনে রফতানিতে আরও গতি আসার সম্ভাবনা প্রবল।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement