G20-তে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত নৈশভোজ। আর তাতে যোগ দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। বিহারের নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি ডিনারে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ডিনারের আসরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সিগনেচার নীল পাড় সাদা শাড়ি পরেছিলেন। গলায় ছিল সাদার উপর লাল সুতোর কাজ করা শাল। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
ডিনারের আয়োজনে একটি বিশেষ থিমও ছিল। তা হল দেশের বিভিন্ন নদী। সেটা কেমন? আসলে এদিন দেশের বিভিন্ন নদীর নামে এক-একটি ডিনার টেবিলের নামকরণ করা হয়েছিল। যেমন কোনও টেবিলের নাম কৃষ্ণা। আবার কোনও টেবিলের নাম যমুনা। একইভাবে ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা ইত্যাদি নদীর নামেও টেবিল ছিল।
রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে খেতে বসেন তিনি।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র বাঘেল, রাজস্থানের অশোক গেহলট, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক এবং দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিনের নৈশভোজের আসরে যোগ দিতে পারেননি।
ভূপেন্দ্র বাঘেল জানিয়েছেন, G20 শীর্ষ সম্মেলনের নিরাপত্তার কারণে বর্তমানে দিল্লিতে কোনও নন-শিডিউলড উড়ান ওঠানামা করছে না। সেই কারণে তিনি এসে পৌঁছাতে পারবেন না।
G-20 সম্মেলনের জন্য প্রায় ৫০০টি খাবারের বিশাল মেনুর আয়োজন করা হয়েছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বাজরা উৎপাদনের প্রচার করছে। আর সেই থিমই বজায় রাখা হয়েছে। বাজরা থেকে তৈরি বিভিন্ন সুস্বাদু ভারতীয় খাবার ছিল মেনুতে। নয়াদিল্লির তাজ প্যালেসে ১২০ জন শেফের দল মিলে প্রায় ৫০০ টি খাবার রান্না করেছেন। মেনুতে গুজরাত, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রের থালি রয়েছে। প্রতিটি খালিতে ১২টি খাবার রয়েছে। G-20 সম্মেলনের মেনুতে কী কী খাবার রয়েছে? জানতে হলে টাচ করুন এই লিঙ্কে।