সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর লালকেল্লার দখল নিলেন কৃষকরা। কেবল দখল নয় জাতীয় পতাকার সঙ্গে ওড়ালেন নিজেদের পতাকাও। পরিস্থিতি সামলাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকতে হল জরুরি বৈঠক। বন্ধ হব দিল্লির মেট্রো পরিষেবা। শুধু তাই নয় দিল্লির ৫ সীমানায় বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। বর্তমান সময়ে দেশের সবথেকে এই বড় আন্দোলনে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েই ট্যুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে জোড়া ট্যুইট করেন তৃণমূলনেত্রী। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উদাসীনতাকেই দায়ি করেছেন তিনি। ট্যুইটে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘দিল্লির পথে উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক ঘটনাগুলি দ্বারা গভীরভাবে বিরক্ত। কৃষক ভাই-বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদশীল মনোভাব ও মত পার্থক্য এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ,কৃষকদের উপর রীতিমতো নির্যাতন করছে মোদী সরকার। কেন্দ্র আইন তৈরির সময় কেন কৃষকদের মতামত নেয়নি এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলনেত্রী। অপর একটি ট্যুইটে মমতা লিখেছেন, ‘প্রথমত, কৃষকদের আস্থার উপর ভর করে এই আইনগুলো তৈরি করা হয়নি। তারপরপ্রায় দু’মাস ধরে দিল্লি সীমানা ও দেশজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ চললেও আন্দোলন প্রসমণে কেন্দ্রের তরফে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। কেন্দ্র অবশ্যেই কৃষকদের সঙ্গে কথা বলুক, কালা আইন বাতিল করুক।’
এর আগেও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষিবিল নিয়ে পথে নেমেছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় তিনি শুধু দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে পাঠান, কৃষক নেতাদের সঙ্গে ফোন সরাসরি কথাও বলেন। কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে মমতাকে একাধিকবারবার সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাইয়ের তুলনা টানতেও দেখা গেছে। তাই সাধারণতন্ত্র দিবসে রণক্ষেত্রের চেহারা নেওয়া দিল্লির রাজপথের জন্য কেন্দ্রের ঘাড়েই দায় ঠেললেন তৃণমূলনেত্রী।