কানপুরের (Kanpur) একটি ফ্ল্যাটে এক প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শহরের পাঙ্কি থানা এলাকায়। মৃত তরুণীর হাতে চুড়ি, সিঁথিতে সিঁদুর, কপালে টিপ ও ঠোঁটে লিপস্টিক ছিল। জানা যাচ্ছে, মেয়েটির বিয়ে হয়নি এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিয়ের কথা ছিল। একই সঙ্গে মৃত যুবক বিবাহিত এবং তাঁর দেড় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে উভয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দু'জনেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিয়ে হয়নি। হয়ত এ কারণেই তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু, মৃত্যুর আগে যুবক নিশ্চয়ই মেয়েটির মাথায় সিঁদুর দিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, বছর তিনেক আগে যুবককে বিয়ে দিয়ে দেয় তাঁর পরিবার। যদিও তিনি প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। যা নিয়ে ওই যুবক ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত।
১৬ ফেব্রুয়ারি দিনভর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ফোন পেলেও কল রিসিভ করেননি তরুণী। পরিবারের লোকজন ফ্ল্যাটে এসে দরজায় ধাক্কা দিলেও দরজা খোলেনি। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা পাঙ্কি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেকক্ষণ পরিশ্রমের পর পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরে গিয়ে দেখা যায় ওই যুবক ও তাঁর বান্ধবীর ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশ তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যুবতীর হাতে চুড়ি, মাথায় সিঁদুর, কপালে টিপ এবং ঠোঁটে লিপস্টিক ছিল। পুলিশের সন্দেহ, এই প্রেমিক দম্পতি বিয়ে করতে চাইলেও পরিবার রাজি ছিল না। এ কারণে দুজনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন এবং মৃত্যুর আগে যুবক নিশ্চয়ই মেয়েটির চাহিদা পূরণ করেন।