চিন করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউয়ে বিপর্যস্ত। ভারতের জন্যও খারাক খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী ৪০ দিন ভারতের জন্য গুরুতর হতে চলেছে। অতীতের প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির দাবি করা হচ্ছে। আগেও দেখা গেছে যে কোভিড -19 এর একটি নতুন তরঙ্গ পূর্ব এশিয়াকে প্রভাবিত করার মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ভারতে পৌঁছেছিল। যে কারণে এটি একটি সহজাত প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, চিনে কোভিড তরঙ্গের কারণ ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট BF.7। এই ভেরিয়েন্ট একসঙ্গে ১৬ জনকে আক্রান্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন-'মা-ছেলের সম্পর্ক অমূল্য...' মোদীকে সমব্যথী-ট্যুইট রাহুলের
তবে আগে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, এবার করোনা সংক্রমণ মানুষের জন্য খুব একটা গুরুতর নয়। ঢেউ উঠলেও রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেক কম হবে। অন্যদিকে, করোনার নতুন রূপ BF.7-এ ওষুধ ও ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা নিয়ে গবেষণা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত দুই থেকে তিন দিনে ৬ হাজার আন্তর্জাতিক যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন আন্তর্জাতিক যাত্রী করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
বুধবার ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভারতে ১৮৮টি নতুন করোনা কেস নথিভুক্ত হয়েছে। মোট সক্রিয় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৬৮ জনে। বর্তমানে ভারতে দৈনিক পজেটিভিটির হার ০.১৪ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক ০.১৮ শতাংশ।
ভারতে নতুন ঢেউয়ের প্রভাব কী হবে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, BF.7 ভেরিয়েন্ট চিনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এই ধরনের জেনেটিক্স সহ ৯০টি দেশে পাওয়া গেছে। এটি Omicron এর BA.5 সাব-ভেরিয়েন্ট গ্রুপের একটি অংশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এটি ভারতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
চিনে করোনায় হাহাকার
করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ চিনে খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিপুল সংখ্যক নতুন কেস আসছে। দৈনিক সংখ্যা লাখে যাচ্ছে। হাসপাতাল ভর্তি, রোগীরা জায়গাও পাচ্ছেন না। চিনে ওষুধেরও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন-বড়দিনের পরের দিনই গির্জায় যিশুর মূর্তি ভাঙচুর মহীশূরে! VIDEO VIRAL