আবার একটা সাইক্লোন। যা তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের বুকে। মোকা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। ঘূর্ণিঝড় কোথায় ভূমি স্পর্শ করবে সেটাই এখন কৌতূহল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ১০ মে-র পর স্পষ্ট করে এ বিষয়ে বলা সম্ভব। মোকার সম্ভাব্য় ল্যান্ডফল কোথায় হতে পারে? ইতিমধ্যেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ৬ মে শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ৭ মে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে ওই অঞ্চলে। তার পর ৮ মে সেটি পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। সেই গভীর নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। সেটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিক বরাবর অগ্রসর হয়ে যাবে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর তার নাম হবে 'মোকা'। যে নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
'মডেল অ্যানালিসিস'-এর ভিত্তিতে মৌসম ভবন জানিয়েছে,দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ৮ মে-র পর শতক্তি বাড়াবে। তা পরিণত হতে পারে প্রবল থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। তার পর সেটি বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমার উপকূলে ল্যান্ডফল করতে পারে। সেটা ১২ বা ১৩ মে হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ বা মায়ানমারের দিকেই যে মোকার অভিমুখ এটা এখনই নিশ্চিত করে বলছেন না আবহবিদরা। তাঁদের মতে,নিম্নচাপ সৃষ্টির পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব। কোন পথে মোকা এগোবে, সেটাও জানা যাবে। মায়ানমার, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার যে কোনও উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোকা।
আবহাওয়ার আন্তর্জাতিক মডেল অনুসারে, উত্তর দিকে যাওয়ার আগে মোকা ঘূর্ণিঝড় যাবে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে। সে ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর এগিয়ে যেতে পারে। গতিপথ বদল করবে ১১ মে। উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিক এগোনোর সময় আরও শক্তিশালী হবে। রূপ নেবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের। পরিণত হবে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অথবা মায়ানমারে ভূমি স্পর্শ করতে পারে। তা না হলে ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও আসতে পারে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে মৌসম ভবন।