HMPV নিয়ে আগাম সতর্ক দিল্লি। রবিবার সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি 'অ্যাডভাইজারি' জারি হয়। তাতে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা, সুশ্রষার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। গত কয়েকদিনে চিনে ক্রমেই এই HMPV-র প্রকোপ বাড়ছে বলে খবর। এমনই প্রেক্ষাপটে এই নির্দেশিকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
দিল্লির বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিকে গুরুতর শ্বাসকষ্ট-জনিত অসুস্থতার পুঙ্খানুপুঙ্খ রেকর্ড রাখতে বলা হয়েছে। ল্যাব টেস্টে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়লে, সেই কেসগুলিরও সমস্ত তথ্য নোট করতে বলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামাইন, ব্রঙ্কোডিলেটর, কফ সিরাপ মজুদ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মাইল্ড কেসের ক্ষেত্রে অক্সিজেন প্রস্তুত রাখতেও বলা হয়েছে। এ যেন ঠিক কোভিডের মতোই প্রস্তুতি।
হাসপাতালগুলিতে 'ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা' এবং গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের জটিলতার সমস্ত কেসের ডিটেইলস লিখে রাখতে বলা হয়েছে। এগুলি ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মে আপডেট করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
এর পাশাপাশি কোনও রোগীর ক্ষেত্রে যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়, সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশন প্রটোকল জারির সুপারিশ করা হয়েছে।
চিনে ক্রমেই HMPV কেস বাড়ছে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে জানা গিয়েছে। যদিও ভারতে এখনও এর প্রভাব নেই। এখনও পর্যন্ত এক শিশুর ক্ষেত্রেই প্রথম HMPV-র কেস নোট করা হয়েছে। মনে রাখা জরুরি, ন্যাশানাল সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)-র পরিসংখ্যান বলছে, গত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতে সেভাবে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার সংখ্যা বাড়েনি।
তবে আগেভাগেই সতর্ক দিল্লির সরকার। দিল্লির স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. বন্দনা বাগ্গা সমস্ত চিফ ডিস্টিক্ট মেডিকেল অফিসারদের সঙ্গে মিটিং করেন। সেখানে কড়া নজরদারির পদ্ধতি, আগাম প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারও চিনে HMPV বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করেছে। তবে সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে যে, এখনই আশঙ্কা করার কিছু নেই। জন সাধারণকে শ্বাসকষ্ট জাতীয় অসুস্থতার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এই HMPV নিয়ে জরুরি মিটিং ডেকেছেন।