বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) অপরাধ কিনা তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হল দিল্লি হাইকোর্টে। তবে এই একমত হতে পারেননি হাইকোর্টের বিচারপতিরা। সেই কারণে মামলাটি তিন বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি এবার সুপ্রিম কোর্টেও যাবে। বৈবাহিক ধর্ষণ মামলায় বিচারপতি রাজীব শঙ্খধর এবং বিচারপতি হরিশঙ্করের মতামতের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। তাই মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হল।
জানা গিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের ক্যাটাগরিতে রাখার পক্ষে ছিলেন বিচারপতি রাজীব। তবে বিচারপতি হরিশঙ্কর এই বিষয়ে সহমত ছিলেন না। বিচারপতি রাজীব বলেন যে ইচ্ছা ছাড়াই স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। কিন্তু বিচারপতি হরিশঙ্কর এই ধারণার সঙ্গে একমত হননি।
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণা করা হবে কি না, সে বিষয়ে আজ দিল্লি হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। এক্ষেত্রে, আগে কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান আইনের পক্ষে ছিল, কিন্তু পরে অবস্থান বদল করে এটি পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি সব পক্ষের বক্তব্য শেষে রায় সংরক্ষণ করে হাইকোর্ট। ফেব্রুয়ারির শুনানিতে, সলিসিটর জেনারেল মেহতা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, এক্ষেত্রে সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জগুলির পাশাপাশি, সামাজিক এবং পারিবারিক জীবনে প্রভাবের দিকটিও ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে আইন, সমাজ, পরিবার এবং সংবিধান সম্পর্কিত এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির মতামত জানাও প্রয়োজন বলে বলা হয়।
১০ জনের মধ্যে ৩ জন মহিলায় স্বামীর দ্বার যৌন হিংসার শিকার
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা নাও হতে পারে, কিন্তু অনেক ভারতীয় মহিলাই এখনও এর মুখোমুখি হন। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (NFHS-5) অনুসারে, দেশে এখনও ২৯ শতাংশেরও বেশি মহিলা রয়েছেন যাঁরা তাঁদের স্বামীদের দ্বারা শারীরিক বা যৌন হিংসার শিকার হন। গ্রাম এবং শহরের মধ্যে পার্থক্যটা আরও বেশি। এই পরিমানটা গ্রামে ৩২% এবং শহরে ২৪%।