২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার কোনও রিপোর্ট সংসদের সামনে পেশ করা হয়নি, সোমবার এমনটাই দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধ মিথ্য ছড়ানোর অভিযোগও আনেন তিনি।
সোমবার জম্মুতে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রায় এসে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) বলেন, 'আমাদের ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান পুলওয়ামায় শহীদ হয়েছিলেন। সিআরপিএফ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন যে, কর্মীদের এয়ারলিফ্ট করা উচিত, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজি হননি। কীভাবে এই ধরনের ত্রুটি ঘটল? আজ পর্যন্ত, পুলওয়ামা নিয়ে কোনও রিপোর্ট সংসদের সামনে রাখা হয়নি'। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন,'তারা দাবি করে যে একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে, কিন্তু প্রমাণ দেখায়নি। তাঁরা শুধু মিথ্যা ছড়ায়'।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে জম্মুকাশ্মীরের উড়িতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ১০ দিন পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। উড়িতে সেনাবাহিনীর ১২ নম্বর ব্রিগেডের সদর দফতরে হামলা চালায় চার জন জঙ্গি। হামলায় মৃত্যু হয় ১৮ জন সেনার।
এর আগে রবিবার দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'প্রথমত, আমরা রাজৌরির ধাংরি এবং জম্মুর নারওয়ালে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা জানাই। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মুকাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে আসলে তা নয়। হত্যা এবং বোমা বিস্ফোরণ ফের শুরু হয়েছে'।
প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) ১২৯তম দিনে তাতে যোগ দেন দিগ্বিজয় সিং, কে সি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, জম্মুকাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান ভিকার রসুল ওয়ানি, কার্যকরী সভাপতি রমন ভাল্লা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তারিক হামিদ কাররা-র মতো নেতারা। গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। আগামী ৩০ জানুয়ারি তা শ্রীনগরে সমাপ্ত হওয়ার কথা। পদযাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে একটি মেগা ব়্যালিতে দলের সদর দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা রয়েছে রাহুল গান্ধীর।
আরও পড়ুন - গান্ধীজি-নেতাজির প্রথম সাক্ষাতে কী কথা হয়েছিল?