বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja) পেয়েছে ইউনেস্কো (UNESCO) স্বীকৃতি। ঐতিহ্যবাহী উৎসবের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে শারদোৎসব। তা এই স্বীকৃতির কৃতিত্ব কার? এনিয়ে শুরু হয়েছে গিয়েছে মোদী ও মমতা সরকারের তরজা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি টুইট করে দাবি করলেন, এটা টানা ২ বছর ধরে সংস্কৃতি মন্ত্রকের পরিশ্রমের ফল।
গত বিধানসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ করতেন বিজেপি নেতারা। প্রতিটি সভায় অমিত শাহ বলতেন, বাংলায় দুর্গাপুজোর বিসর্জন পিছিয়ে মহরমের মিছিলকে অনুমতি দেওয়া হয়। দুর্গাপুজো 'হেরিটেজ' তকমা পাওয়ার পর সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। টুইটারে তাঁর কটাক্ষ,''অমিত শাহ-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের জন্য দু'মিনিটের নীরবতা পালন করা উচিত। ভোটের আগে প্রচার করেছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। তোমাদের গোঁড়ামি ও গুজব আরও একবার ফাঁস হয়ে গেল।''
অভিষেকের টুইটের জবাবে কিষান রেড্ডি লিখেছেন,''মানব সভ্য়তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য় হিসেবে কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এজন্য ২ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রক। ইউনেস্কোয় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ও বিদেশমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই।''
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দিয়ে কিষান লিখেছেন,''বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ফলে সহ-প্রস্তাবক হয়েছে জাপান। সমর্থন দিয়েছে ১৬টি দেশ।'' তিনি আরও লিখেছেন,''দুর্গাপুজো শুধু বাংলার মানুষের জন্য নয় বরং সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য গর্বের মুহূর্ত। দেবীর পুজোর মাধ্যমে নারী শক্তিকে সম্মান দেওয়া হয়। এটা সম্ভব করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রকের আধিকারিকদের ধন্যবাদ।''
কলকাতা পুরভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,''কেউ কেউ বলেছিল, মমতাজি দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ ওঁদের মুখে চুনকালি। আজ আমার বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ সম্মান পেয়েছে।'' দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার পিছনে কার কৃতিত্ব তা নিয়ে কিষান রেড্ডির টুইটে তরজার সূত্রপাত হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।