Advertisement

Rahul Gandhi: প্রমাণ থাকলে চিঠি কেন লিখছেন না? 'ম্যাচ ফিক্সিং' তত্ত্ব নিয়ে রাহুলকে প্রশ্ন কমিশনের

মহারাষ্ট্র নির্বাচনে রাহুল গান্ধীর 'ম্যাচ ফিক্সিং'-এর তত্ত্বের অভিযোগ নিয়ে এবার জবাব নির্বাচন কমিশনের। তাঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে কেন তিনি চিঠি লিখছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 10 Jun 2025,
  • अपडेटेड 8:51 AM IST
  • রাহুল গান্ধীর কাছে তথ্যপ্রমাণ থাকলে কেন চিঠি লিখছেন না?
  • 'ম্যাচ ফিক্সিং'-এর তত্ত্বের অভিযোগ নিয়ে এবার জবাব নির্বাচন কমিশনের
  • কমিশনের ওয়েবসাইটে কংগ্রেসের অভিযোগের জবাব আগেও দেওয়া হয়েছিস বলে উল্লেখ

একের পর এক সভা এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নির্বাচন কমিশনের পরোক্ষে তীব্র সমালোচনা করছেন রাহুল গান্ধী। একাধিকবার নির্বাচন কমিশনও রাহুল গান্ধীর নানা সমালোচনার জবাব দিয়েছে। যদিও সরাসরি কমিশনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি লোকসভার বিরোধী দলনেতা। 

সূত্রের খবর, কমিশন মনে করছে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই রাহুল গান্ধী একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি, কেন তিনি কমিশনকে অভিযোগগুলি নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করছেন না, অথবা চিঠি দিচ্ছেন না, তা নিয়েও জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। BJP শিবিরের দাবি, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে কেবলমাত্র রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে হইচই ফেলে দিতেই এমন আচরণ করছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। 

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রাহুল গান্ধীর দাবিকে অস্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে খারিজ করে দিয়েছে  জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেতার ভোটার জালিয়াতির অভিযোগের প্রতিটি পয়েন্ট তারা খণ্ডন করেছে। কমিশন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে নির্বাচনী ফলাফল প্রতিকূলে গেলেই নির্বাচন কমিশনকে অপমান করার চেষ্টা করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

রাহুল গান্ধীর ফিক্সিংয়ের দাবি খারিজ করে, নির্বাচন প্যানেল জানিয়েছে যে পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়েছিল। সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। কমিশন উল্লেখ করেছে যে কংগ্রেসের অনুমোদিত এজেন্টরা কখনও অস্বাভাবিক ভোটগ্রহণ সম্পর্কে কোনও আপত্তি বা অভিযোগ তোলেননি সেই সময়।

রাহুলের অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইন সংশোধন করে কেন্দ্র সুবিধা নিয়েছে। কারণ, প্যানেল থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI)-কে সরিয়ে দেওয়া হয়।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগগুলিকে অপ্রমাণিত বলে অভিহিত করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,  গত বছর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরপরই কংগ্রেসের উত্থাপিত একই অভিযোগের জবাব তারা দিয়েছিল। কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসকে দেওয়া জবাবে এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছিল। যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মনে হচ্ছে বারবার এই ধরনের বিষয় উত্থাপন করার সময় এই সমস্ত তথ্য সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। 

Advertisement

রাহুলের এই অভিযোগ খণ্ডন করেছে গেরুয়া শিবিরও। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও। তিনি বলেন, 'রাহুল গান্ধী তো ভোটের আগেই হার মেনে বসে আছেন। উনি এমন মন্তব্য করতে থাকেন আর তাঁর দল হারতে থাকে। রাহুল গান্ধীকে এবার ঘুম থেকে জাগানো দরকার।' BJP-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, 'রাহুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। কংগ্রেস যখন জেতে তখন ব্যবস্থা স্বচ্ছ। কিন্তু কংগ্রেস হারলেই যড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।'

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement