Advertisement

Uttar Pradesh Man Suicide : ৭ বছরের প্রেম-বিয়ে; সরকারি চাকরি পেয়ে বদলে গেল স্ত্রীর ব্যবহার, আত্মহত্যা যুবকের

স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা যুবকের। একটি হোটেল রুম থেকে দেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের একটি ভিডিও সামনে আসার পরই জানা যায় কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

Uttar Pradesh Man suicide Uttar Pradesh Man suicide
Aajtak Bangla
  • লখনউ ,
  • 20 Apr 2025,
  • अपडेटेड 1:56 PM IST
  • স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা যুবকের
  • কটি হোটেল রুম থেকে দেহ উদ্ধার হয়

স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা যুবকের। একটি হোটেল রুম থেকে দেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের একটি ভিডিও সামনে আসার পরই জানা যায় কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ওই ভিডিওতে যুবককে বলছেন, 'এই ভিডিওটি যতদিন পাবেন, ততদিনে আমি এই পৃথিবীতে থাকব না। ছেলেদের জন্য আইন থাকলে হয়তো এই অন্যায় পদক্ষেপ নিতাম না। আমি আমার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে পারিনি। সেজন্যই এই পদক্ষেপ নিচ্ছি। বাবা, মা, আমাকে ক্ষমা করো।' 

আত্মহত্যাকারী যুবকের নাম মোহিত যাদব। একটি সিমেন্ট কোম্পানির ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তিনি আউরাইয়া জেলার দিবিয়াপুরের বাসিন্দা ছিলেন। প্রিয়া যাদব নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। সব ঠিকই চলছিল। এরই মধ্যে প্রিয়া বিহারের সমস্তিপুরে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই স্বামীর উপর অত্যাচার শুরু করেন তিনি। মা ও ভাইয়ের নির্দেশে প্রিয়া মোহিতকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। বাড়ি ও জমি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। 

আত্মহত্যার আগে মোহিত ভিডিওতে আরও জানান,তাঁর স্ত্রী প্রিয়া তাঁর অমতে গর্ভপাত করিয়েছেন। ভিডিওতে বলেছেন, 'আমার স্ত্রী আমাকে হুমকি দিচ্ছে যে, যদি বাড়ি ও সম্পত্তি তাঁর নামে হস্তান্তর না করি তাহলে আমাকে ও পরিবারকে মিথ্যা যৌতুকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে। মানসিক নির্যাতনের জন্য মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হচ্ছে। এরপরও যদি আমি সুবিচার না পাই তাহলে আমার ছাই ড্রেনে ফেলে দিতে হবে। মা-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দাও। তোমাদের প্রত্যাশা আমরা পূরণ করতে পারিনি।; 

মৃতের ভাই তরণ প্রতাপ জানান, 'আমার ভাই মোহিত নয়ডায় একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করত। নয়ডাতেই থাকতেন প্রিয়া। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাত বছর সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিন মাস সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর থেকে প্রিয়া হয়রানি করতে থাকেন। তিনি আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দিয়েছিলেন।' 

Advertisement

স্থানীয় এসপি সিটি অভয় নাথ ত্রিপাঠী জানান, রেলওয়ে স্টেশন রোডে অবস্থিত জলি হোটেল থেকে খবর পাওয়া যায়। মোহিত কুমার ১০৫ নম্বর রুম ভাড়া করেছিলেন। তারপর আর হোটেল রুম থেকে বের হননি। তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement