শাশুড়ি ও জামাইয়ের প্রেমের গল্প মাঝে মধ্যেই শোনা যায়। তবে এবার দিদাকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করল নাতি। ওই মহিলার বয়স ৫০ বছর। তাঁর স্বামী ও ৪ সন্তান রয়েছে। তাদের সবাইকে ছেড়ে ৩০ বছরের নাতির সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন তিনি। মালাবদল ও সিঁদুর দানের ছবিও সামনে এসেছে। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার প্রতাপপুর বেলওয়ারিয়া গ্রামের।
ইন্দ্রাবতী ও আজাদ দুজনেরই বাড়ি ওই গ্রামে। একই এলাকায় থাকার সুবাদে একে অপরকে চিনতেন তাঁরা। আজাদ ইন্দ্রাবতীকে দিদা বলে ডাকতেন। তবে একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। সে প্রায় কয়েক মাস আগের কথা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুজনেই মাঝে মধ্যে দেখা করতেন। তবে তাঁরা যে প্রেমের সম্পর্কে জড়়িয়েছেন তা ঘূনাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশী বা পরিবারের সদস্যরা। ফলে বাধাও দেননি। কিন্তু স্ত্রী ইন্দ্রাবতীকে একদিন আজাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী চন্দ্রশেখর। তারপরই গোটা ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়।
চন্দ্রশেখরের অভিযোগ, বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার কয়েকদিন আগের ঘটনা। তিনি আজাদের সঙ্গে ইন্দ্রাবতীকে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেন। তা নিয়ে দুই বাড়়ির মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। স্ত্রী-কে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি। তবে তারপরও প্রেমের সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। চন্দ্রশেখরের আরও দাবি, তাঁর ৪ সন্তানকে নিজের হাতে বিষ খাইয়ে খুন করার চক্রান্ত করেছিলেন ইন্দ্রাবতী। তা নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, থানা পুলিশ হওয়ার পর আজাদের সঙ্গে ইন্দ্রাবতীর ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়ে যায়। তাঁরা ঘন ঘন দেখা করতে শুরু করেন। তারপর একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে আজাদের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। গোবিন্দ সাহেব মন্দিরে হিন্দু মতে বিয়ে হয়। মালাবদল করেন তাঁরা। সিঁদুরদানের পর চারহাত এক হয়। বিয়ের পর দুজনেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ইন্দ্রাবতীর সঙ্গে বিয়ের পর চন্দ্রশেখর কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন। পরে যদিও গ্রামে ফিরে এসে কৃষিকাজ ও পশুপালন শুরু করেন। চন্দ্রশেখর জানান, তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি স্ত্রী এমন একটা কাণ্ড করে বসবে। তবে এখন স্ত্রী-কে ছাড়া জীবন যাপন করতে চান তিনি।