Advertisement

India-China Border: মুখে শান্তির কথা, সীমান্তে লাগাতার ‘অবৈধ নির্মাণ’; ৮ ছবি খুলে দিল চিনের মুখোশ

India-China Border: চিনের কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য অনুমান করাই যায়। চিন মুখে যা বলে, কাজে যে ঠিক তার উল্টোটাই করে, এর প্রমাণ আগেও বহুবার পেয়েছে ভারত। সীমান্তে শান্তি রক্ষার কথা চিন যতই বলুক না কেন, সম্প্রতি স্যাটেলাইটের পাঠানো ৮টি ছবিতেই স্পষ্ট হয়েছে চিনের দ্বিচারিতা, খুলে দিয়েছে শান্তির নামে ভণ্ডামির মুখোশ!

সীমান্তে শান্তি রক্ষার কথা চিন যতই বলুক না কেন, সম্প্রতি স্যাটেলাইটের পাঠানো ৮টি ছবিতেই স্পষ্ট হয়েছে চিনের দ্বিচারিতা, খুলে দিয়েছে শান্তির নামে ভণ্ডামির মুখোশ!
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Aug 2023,
  • अपडेटेड 11:44 PM IST
  • চিনের কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য অনুমান করাই যায়।
  • চিন মুখে যা বলে, কাজে যে ঠিক তার উল্টোটাই করে, এর প্রমাণ আগেও বহুবার পেয়েছে ভারত।
  • সীমান্তে শান্তি রক্ষার কথা চিন যতই বলুক না কেন, সম্প্রতি স্যাটেলাইটের পাঠানো ৮টি ছবিতেই স্পষ্ট হয়েছে চিনের দ্বিচারিতা, খুলে দিয়েছে শান্তির নামে ভণ্ডামির মুখোশ!

India-China Border: চিনের কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য অনুমান করাই যায়। চিন মুখে যা বলে, কাজে যে ঠিক তার উল্টোটাই করে, এর প্রমাণ আগেও বহুবার পেয়েছে ভারত। সীমান্তে শান্তি রক্ষার কথা চিন যতই বলুক না কেন, সম্প্রতি স্যাটেলাইটের পাঠানো ৮টি ছবিতেই স্পষ্ট হয়েছে চিনের দ্বিচারিতা, খুলে দিয়েছে শান্তির নামে ভণ্ডামির মুখোশ!

সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ানের ঘটনার পর থেকে চিন সংলগ্ন এলএসি-তে ভারত অত্যন্ত সতর্ক হয়ে উঠেছে। চিনের প্রতিটি পদক্ষেপের অবসান ঘটাতে ভারতও প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

গালওয়ানের বিরোধের সময়, লাদাখের অনেক দুর্গম পাহাড় লাইমলাইটে এসেছিল, তার মধ্যে একটি ছিল চাংলা টপ। এই পাহাড়ের একটি পথ দৌলতবেগ ওল্ডির দিকে এবং অন্য পথটি প্যাংগং সো-তে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে বিআরও এখানে রাস্তা তৈরির কাজ করছে, হিমাঙ্ক প্রকল্পের আওতায় এসব এলাকায় রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে যাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে কোনও ধরনের চলাচল সহজে করতে পারে।

চিনের কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য অনুমান করাই যায়। চিনের মিথ্যাচার আরও একবার সামনে এল। বৃহস্পতিবার ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করেন। এরপর চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ভারতের অনুরোধেই এই কথোপকথন হয়েছে। কিন্তু ভারত এই দাবি প্রত্যাখ্যান জানিয়েছে যে, চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের অনুরোধ এসেছিল চিনের কাছ থেকেই। 

তবে, চিনের কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সীমান্তেও তা স্পষ্ট দেখা যায়। বৃহস্পতিবারই, চিনের বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি জিনপিং সীমান্ত বরাবর এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছেন।

Advertisement

কিন্তু এমনই কিছু ছবি সামনে এসেছে, যা চিনের দ্বিচারিতা, শান্তির নামে ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দিয়েছে! চিন কীভাবে পশ্চিম সীমান্তে তাদের সামরিক পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে তা এই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। 

স্যাটেলাইট ছবি দেখায় চিন কত দ্রুত আকসাই চিনে সামরিক পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে। মার্কিন ভিত্তিক কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজি থেকে পাওয়া ছবিতে ২৫০ হেক্টর এলাকায় নজরদারি রাডার, রাস্তা এবং নির্মাণাধীন সামরিক পরিকাঠামো ধরা পড়েছে।

এই সমস্ত LAC থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কয়েক মাসে এই সমস্ত সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এই সময়টি ছিল যখন উভয় দেশ সীমান্ত বিরোধ সমাধানে আলোচনার টেবিলে একত্রিত হয়েছিল। 

স্যাটেলাইট ছবি দেখে মনে হচ্ছে এ বছর বরফ গলে যাওয়ার পর চিন এখানে সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। ১৮ আগস্ট তোলা ছবিতে চিনা সেনাবাহিনীর YLC-4 এবং YLC-8 দেখা যায়। এই দুটিই দীর্ঘ পরিসরের নজরদারি রাডার।

এছাড়াও এই স্থানে এমন অনেক নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন) রয়েছে যা মাটির নিচে রয়ে গেছে। চিনা সেনাবাহিনীর জন্য কৌশলগত দিক থেকে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়লে চিন তা ব্যবহার করতে পারে। তাই, স্থায়ী সামরিক কমপ্লেক্সের বিকাশ এলএসি বরাবর শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চিন আকসাই চিনে রাস্তা, স্টোরেজ সুবিধা, আবাসিক ইউনিট এবং প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করেছে। গত সপ্তাহের ছবিগুলোতে যন্ত্রপাতি ও বড় ট্রাকও দেখা যাচ্ছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে এখানে এখনও নির্মাণ কাজ চলছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় এসব চালাচ্ছে চিন।

এসব থেকেই এটা স্পষ্ট যে, চিন এলএসির কাছে তার প্রস্তুতি জোরদার করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে, ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। এর পর চিন প্রস্তুতি আরও জোরদার করে, যাতে এখানে কঠোর পরিবেশ এবং প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও তার সৈন্যরা খুব বেশি সমস্যায় না পড়ে। চিন কাছাকাছি একটি স্থায়ী সামরিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে পারে, এমন একটি সম্ভাবনা রয়েছে।

স্যাটেলাইট ছবিও দেখায় যে চিন এখানে সংযোগের জন্য রাস্তা তৈরি করছে। গত তিন-চার মাসে এসব কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। এই ছবিগুলি LAC-তে স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল৷ এই সমস্ত ছবি থেকে এটা স্পষ্ট যে অচল জায়গাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও, চিনা সেনারা এখানে তাদের উপস্থিতি বজায় রাখবে। ২০২০ সালের মে মাসে এখানে চিনা সেনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement