Advertisement

CMS 03 Satellite: ভারতের হাতে 'সমুদ্রের চোখ', অপারেশন সিঁদুর ২.০ তে খুব মার খাবে পাকিস্তান

২ নভেম্বর পঞ্চমবারের জন্য উড়বে ভারতের অন্যতম সেরা লঞ্চ ভেহিক্যাল LVM3 রকেট। এই উড়ানের নাম দেওয়া হয়েছে LVM3-M5। এটি ভারতের সবথেকে ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট CMS-03-কে মহাকাশে পৌঁছে দেবে। এই স্যাটেলাইট ভারতীয় নৌসেনার জন্য খুবই জরুরি। এটি নৌসেনার কমিউনিকেশনে করবে সাহায্য। পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর থেকে পাওয়া নানা শিক্ষাকেও বাস্তবে প্রয়োগের করবে সাহায্য।

সমুদ্রের চোখসমুদ্রের চোখ
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 01 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:34 PM IST
  • ২ নভেম্বর পঞ্চমবারের জন্য উড়বে ভারতের অন্যতম সেরা লঞ্চ ভেহিক্যাল LVM3 রকেট
  • এই উড়ানের নাম দেওয়া হয়েছে LVM3-M5
  • এটি ভারতের সবথেকে ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট CMS-03-কে মহাকাশে পৌঁছে দেবে

২ নভেম্বর পঞ্চমবারের জন্য উড়বে ভারতের অন্যতম সেরা লঞ্চ ভেহিক্যাল LVM3 রকেট। এই উড়ানের নাম দেওয়া হয়েছে LVM3-M5। এটি ভারতের সবথেকে ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট CMS-03-কে মহাকাশে পৌঁছে দেবে। এই স্যাটেলাইট ভারতীয় নৌসেনার জন্য খুবই জরুরি। এটি নৌসেনার কমিউনিকেশনে করবে সাহায্য। পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর থেকে পাওয়া নানা শিক্ষাকেও বাস্তবে প্রয়োগের করবে সাহায্য।

LVM3 রকেট খুবই নির্ভরযোগ্য

LVM3 রকেট ভারতের কাছে অন্যতম সেরা লঞ্চ ভেহিক্যাল। এটি ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ISRO-এর দ্বারা তৈরি। এটির পুরো নাম হল লঞ্চ ভেহিক্যাল মার্ক ৩। মহাকাশে খুব ভারী জিনিসকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে এই রকেট। এটি প্রথম থেকেই দারুণ কাজ করে আসছে। এমনকী চন্দ্রযান ৩-কে মহাকাশে পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও করে এই স্যাটেলাইট। আর সেই চন্দ্রযান করে রেকর্ড। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে যায় ভারত।

এখন অবশ্য LVM3-M5-এর পালা। এই রকেট এখন ফুল রেডি। এটি অক্টোবর ২৬, ২০২৫- অ্যাসেম্বেল করা হয় স্যাটেলাইট সমেত। তারপর এটি নিয়ে আসা হয় লঞ্চ প্যাডে। এখন শেষ মুহূর্তের পরীক্ষানীরিক্ষা চলছে। আগামিকাল বিকেল ৫.২৬ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উড়বে এই রকেট। এই দৃশ্য আপনি ISRO-এর ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পারেন।

CMS-03 ভারতের সবথেকে ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট

CMS-03 এর পুরো নাম হল কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট মিশন-০৩। এটি একটি মাল্টি ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। যার অর্থ এটি নানা রেডিও ওয়েভে কাজ করতে পারে। এর ওজন মোটামুটি ৪৪০০ কেজি। এটা ভারতের সবথেকে ভারী স্যাটেলাইট হতে চলেছে যা জিওসিক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে পৌঁছে দেওয়া হবে। জিওসিক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট হল পৃথিবীর উপরের এমন একটি জায়গা, যেখানে থেকে ঠিক মতো কমিউনিকেশন করা যায়।

কেন এই স্যাটেলাইট স্পেশাল?

এটি একটি স্পেশাল কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। এটি ভারতীয় নেভির জন্য তৈরি। এটি নৌসেনার জাহাজ, সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমানের মধ্যে দ্রুত সংযোগ স্থাপনে করবে সাহায্য।

Advertisement

কী কী লাভ হবে?

সুরক্ষা বাড়বে- এটির মাধ্যমে নেভি অফিসাররা শত্রুদের রিয়েল টাইম অ্যাক্টিভিটি চেক করতে পারবেন। ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে শত্রুদের উপর থাকা শত্রুদের উপর নজর রাখা যাাবে। তাই এই স্যাটেলাইটকে 'সমুদ্রের চোখ' বলা হচ্ছে।

সহজ হবে কোঅর্ডিনেশন- এর ফলে বিমান, জাহাজ এবং সাবমেরিনের মধ্যে যোগাযোগ দ্রুত হবে।

আসলে অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের পক্ষ থেকে গোয়ান্দা স্যাটেলাইট বানানোর কাজ দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। আর এই স্যাটেলাইট তারই অংশ। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার বলেই খবর। আর এই স্যাটেলাইট নিয়ে ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুর ২.০ শুরু হলে তারা অনেকটাই ব্যাকফুটে থাকবে, সে কথা তো বলাই বাহুল্য!

Read more!
Advertisement
Advertisement