কারা সবথেকে গরিব? তার মাপকাঠির পরিবর্তন করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ইংরেজিতে যাকে বলে Extreme Poverty। বিশ্বব্যাঙ্কের এই নতুন মাপকাঠিতে উল্লেখ, ২০২২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের কম অর্থাৎ ১৬৬ টাকা রোজগার করা লোকদের 'অত্যন্ত দরিদ্র' হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
এর আগের মাপকাঠিতে ছিল, যাদের আয় ১.৯০ ডলারের কম, অর্থাৎ প্রতিদিন ১৪৭ টাকা তাদের খুব দরিদ্র বলে মনে করা হত।
বিশ্বব্যাঙ্কের এই নতুন মাপকাঠিতে 'চরম দরিদ্র' মানুষের সংখ্যা ০.২ শতাংশ কমেছে। এখন বিশ্বব্যাঙ্কের দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার অংশ ৯. ১ শতাংশ। সংখ্যার দিক থেকে, নতুন ফর্মুলার কারণে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দেড় কোটি কমেছে। তবে এই ঘাটতির পরও বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের জনসংখ্যা ৬৮ কোটি। অর্থাৎ ৬৮ কোটি মানুষের দৈনিক আয় ১৬৬ টাকার কম।
আরও পড়ুন : ভারতে ছড়াচ্ছে এই ৪ ভাইরাস, ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বিশ্বেও
বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে, চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর ক্রয়ক্ষমতার উন্নতি। পুরোনো সূত্র অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষের ৬২ শতাংশ আফ্রিকান দেশগুলিতে বাস করত।
নতুন ফর্মুলার ভিত্তিতে এসব দেশের শেয়ার ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও এখনও বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই দেশগুলিতে বাস করে। বিশ্বব্যাঙ্ক প্রতিবেদনে বলেছে, সাব-সাহারান আফ্রিকায় মূল্যস্ফীতির ৪০ শতাংশের জন্য খাদ্য উপাদান দায়ী। যেহেতু এসব দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নামমাত্র, তাই তাদের ক্রয়ক্ষমতার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ভারতেও দারিদ্র কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। গত কয়েক বছরে দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১২.৩ শতাংশ কমেছে। ভারতে দরিদ্রের সংখ্যা কম হওয়ার প্রধান কারণ হল গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস। এই সময়ের মধ্যে গ্রামীণ ভারতে অত্যন্ত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে ১০.২ শতাংশে নেমে এসেছে।