
Indigo Problem: দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এয়ারলাইন ইন্ডিগোর টানা অপারেশনাল বিপর্যয়ে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। একের পর এক ফ্লাইট বাতিল, দেরি, লাগেজ আটকে থাকা সব মিলিয়ে বিশাল বিশৃঙ্খলার জেরে এবার কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নাগরিক উड्डয়নমন্ত্রী রাম মোহন নায়ডুর স্পষ্ট বার্তা“এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে কোনও এয়ারলাইন সংস্থা ভবিষ্যতে মন্ত্রণালয়কে হালকা ভাবে নেওয়ার সাহস না দেখায়।”
সরকারের কঠোর অবস্থান
অসামরিক বিমানমন্ত্রী আজতকের কাছে স্পষ্ট করে জানান, ইন্ডিগোর এই বিপর্যয় কীভাবে আচমকা ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হল, তার সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা সংস্থাকেই নিতে হবে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে, যেখানে আর্থিক জরিমানা থেকে দণ্ডমূলক ব্যবস্থা, সবই বিবেচনায় রয়েছে। সরকারের মতে, দেশের এভিয়েশন খাতে এমন বিশৃঙ্খলা কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।
ফ্লাইট বাতিলের আপডেট
শনিবার ইন্ডিগো ও অন্য সংস্থার মোট ৮৫০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যদিও শুক্রবারের ১,০০০+ বাতিলের তুলনায় কিছুটা কম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মোট ২,১০০-এর বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়ে গিয়েছে। ইন্ডিগোর দাবি, তারা রিফান্ডকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তি করছে এবং ধীরে ধীরে অপারেশন স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
DGCA ইতিমধ্যেই FDTL নিয়মে ছাড় দিয়েছে, যাতে পাইলট শিডিউলিং সহজ হয় এবং নেটওয়ার্ক দ্রুত স্বাভাবিক হয়।
মন্ত্রকের নির্দেশ:
রিফান্ড-রিশিডিউল-লাগেজ ডেলিভারি সবই নিয়মের মধ্যে করতে হবে
নাগরিক উড্ডয়ন মন্ত্রণালয় কয়েকটি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে
রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে সব বাতিল টিকিটের রিফান্ড সম্পূর্ণ করতে হবে।
রিশিডিউলিং চার্জ সম্পূর্ণ মকুব করতে হবে।
হারানো/আটকে থাকা লাগেজ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যাত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
অপারেশন পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ‘অটোম্যাটিক রিফান্ড’ ব্যবস্থা চালু থাকবে।
নির্দেশ পালন না হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।