
শত্রুপক্ষের বুকে ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট ভারতের BrahMos Missile। আর এটা ঠারে ঠারে বুঝেছে পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের সময় এই মিসাইলের সাহায্যে তাদের ঘরে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আর এই ঘটনার পর থেকেই ভারতের ব্রহ্মস নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে একাধিক দেশ। আর সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়া এই মিসাইল কিনতে চাইছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সজফরি সমসুদ্দিন ভারতে আসছেন এই মাসের শেষে। ব্রহ্মস চুক্তি নিয়ে বিশদে আলোচনা করতেই তিনি আসছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি এই মাসের ২৬ তারিখ এবং ২৮ তারিখ আসছেন। তার সঙ্গে ভারতে আসছেন প্রতিরক্ষা দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরাও।
সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও লখনউয়ের ব্রহ্মস ইভেন্টে এই বিষয়টা নিশ্চিত করেন। আসলে ইন্দোনেশিয়া হল একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে মোটামুটি ৩০ কোটি মুসলিম বসবাস করেন। আর ভারত এবং ইন্দেনেশিয়ার সম্পর্ক চিরকালই ভাল। তাই তো চলতি বছরের শুরুতেই ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো ভারতে তিন দিনের সফরে এসেছিলেন। তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ছিলেন মুখ্য অতিথি। আর তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কও ভাল। তাই মোদী বারবার এই দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার শত্রু কে?
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সরাসরি কোনও দেশের শত্রুতা নেই। তবে এই দেশটি সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। শুধু তাই নয়, অভ্যন্তরীণ শান্তি ধরে রাখা এবং চিনা আস্ফালন থেকেও সুরক্ষিত থাকতে চাইছে তারা। তাই সিকিউরিটি ব্যালেন্স করতেই ইন্দোনেশিয়া ব্রহ্মস কিনছে বলে খবর।
ইন্দোনেশিয়া মনে করে, ব্রহ্মোস মিসাইল তাদের সমুদ্রের শত্রুদের থেকে রক্ষা করবে। শুধু তাই নয়, চিনা আস্ফলন থেকে বাঁচতে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষাতেও এটা সেরা হাতিরায় হয়ে উঠতে পারে।
কেন ভারত থেকে কিনছে ব্রহ্মস?
আসলে এতদিন পর্যন্ত চিন এবং রাশিয়া থেকেই অস্ত্র কিনেছে ইন্দোনেশিয়া। তবে সেই জায়গাটাতেই খেলা ঘোরাতে চেয়েছে এই দেশটি। তারা ভারত থেকে ব্রহ্মস কিনে একটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছে। তাতেই ভবিষ্যতের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের, অত্যন্ত আধুনিক একটি মিসাইল হল ব্রহ্মস। এটি দ্রুত শত্রুপক্ষের উপর হামলা চালাতে পারে। আর এই হামলা একবারে নিঁখুত হয়। যেখানে টার্গেট সেট করা হয়, সেখানেই আক্রমণ করে ব্রহ্মস। তাই অনেক দেশই কিনতে চাইছে এই মিসাইল।