Advertisement

Jyoti Malhotra: জ্যোতির মোবাইল থেকে উদ্ধার মুছে ফেলা ডেটা, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

ভারতের বিভিন্ন সেনা ও কৌশলগত তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা–র বিরুদ্ধে তদন্ত আরও গভীর ও বিস্তৃত হচ্ছে। হরিয়ানা পুলিশের ফরেনসিক পরীক্ষায় জ্যোতির মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ ডেটা উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 26 May 2025,
  • अपडेटेड 1:27 PM IST
  • ভারতের বিভিন্ন সেনা ও কৌশলগত তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা–র বিরুদ্ধে তদন্ত আরও গভীর ও বিস্তৃত হচ্ছে।
  • হরিয়ানা পুলিশের ফরেনসিক পরীক্ষায় জ্যোতির মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ ডেটা উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ।

ভারতের বিভিন্ন সেনা ও কৌশলগত তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা–র বিরুদ্ধে তদন্ত আরও গভীর ও বিস্তৃত হচ্ছে। হরিয়ানা পুলিশের ফরেনসিক পরীক্ষায় জ্যোতির মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ ডেটা উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ।

মোবাইল থেকে মিলল আইএসআই-যোগ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল ডেটা ঘেঁটে পিআইও (পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভ)-এর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ফোনালাপের নমুনা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে—'ড্যানিশ', যে দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত বলে অনুমান। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই ব্যক্তি হতে পারে ভারতের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের মূল যোগাযোগকারী।

ইউটিউব নয়, উদ্দেশ্য ছিল গুপ্তচরবৃত্তি?
জ্যোতির ইউটিউব ভ্রমণ ভিডিও আপলোডের আড়ালে আসলে ছিল ভারতের সেনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং তা শত্রু রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা—এমনটাই সন্দেহ তদন্তকারীদের। শুধু হরিয়ানা নয়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দল হিসারে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে করা তার ভিডিও নিয়েও তদন্ত চলছে।

অপেক্ষায় ল্যাপটপের তথ্য
পুলিশ ইতিমধ্যেই জ্যোতির কাছ থেকে তিনটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। মোবাইলের বেশিরভাগ তথ্য উদ্ধার হলেও, ল্যাপটপের ডেটা এখনো বিশ্লেষণাধীন। পুলিশ জানায়, ভিডিও স্থানান্তরের পাশাপাশি কিছু সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশনও পাওয়া গেছে, যেগুলির মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।

বিদেশ সফর ও অর্থের উৎসে প্রশ্ন
একজন ইউটিউবার হিসেবে পাকিস্তান, দুবাই, থাইল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে জ্যোতির ঘন ঘন সফর প্রশ্ন তুলছে। কীভাবে এত ভ্রমণের খরচ চালাতেন তিনি? তদন্তে উঠে এসেছে কিছু সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেন। জ্যোতি ও তাঁর বাবার অ্যাকাউন্টে আসা বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যাংকের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।

SIT ও কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা
হিসার পুলিশের গঠিত বিশেষ তদন্ত দল (SIT)-এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিও এখন এই মামলার তদন্তে নেমেছে। যদি এই ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হয়, তাহলে সমগ্র আন্তর্জাতিক গুপ্তচর নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হতে পারে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।

Advertisement

পুলিশ জ্যোতির সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে—সেখানে কোনও সংবেদনশীল ছবি বা ভিডিও আপলোড করা হয়েছে কি না, বা কারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, সেটাও এখন নজরে।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
জ্যোতিকে আদালতে পেশ করে আরও রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা, নাকি তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যা তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর এবং এর পিছনে বড় কোনও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে থাকতে পারে। তদন্তে নজর রাখা হচ্ছে প্রতিটি স্তরে।
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement