আগামী লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধীই হবেন বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। এমন ঘোষণা করলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তাঁর কথায়,'দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর রাজনীতি।'
পিটিআই-কে দেওয়া লিখিত সাক্ষাৎকারে কমলনাথ বলেন,'২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধী শুধু বিরোধী শিবিরের মুখই নন তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীও। ইতিহাসে কেউ এত বড় পদযাত্রা করেননি। দেশের জন্য গান্ধীরা ছাড়া আর কোনও পরিবার এতটা আত্মত্যাগ করেননি। রাহুল গান্ধী ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর রাজনীতি।
কমলনাথের এহেন দাবি ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীরা কি রাহুলের নেতৃত্ব মেনে নেবেন? এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে রাহুলের নেতৃত্বেই লড়েছিল কংগ্রেস। দুটি নির্বাচনেই দলের ভরাডুবি হয়েছে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক রেখচিত্রও নিম্নমুখী। উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের মতো রাজ্যে দল কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে বেঁচে রয়েছে কংগ্রেসের সংগঠন। তা দিয়ে আর যাই হোক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব নয়। চাই বিরোধী জোট। এখন বিরোধী জোটের নেতারা কি রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মেনে নেবেন?
বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের সওয়াল করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে গিয়েও সলতে পাকিয়ে এসেছেন। একুশের ভোটের পর সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন মমতা। তাঁর পক্ষে রাহুলের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধী বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল। গুজরাটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বিরোধী মুখ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
আরও পড়ুন- 'প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই কিন্তু...' পাকিস্তান-চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের