ব্যাগ খুলতেই থ শিক্ষক-শিক্ষিকা। স্কুল পড়ুয়ার ব্যাগে পড়ার বই-খাতা-পেন ইত্যাদি থাকার কথা। অথচ তার জায়গায় রয়েছে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, সিগারেট! বেঙ্গালুরুর কয়েকটি স্কুলের ছাত্রদের ব্যাগ থেকে এই সব জিনিস উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্কুলগুলিতে আচমকা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশিতে পাওয়া গিয়েছে- সেল ফোন, কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, লাইটার, সিগারেট, হোয়াইটনার এবং নগদ টাকা।
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাগে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি এবং সিগারেটের পাওয়া গিয়েছে। আসলে ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগ আসার পর আচমকা ব্যাগে তল্লাশি করতে গিয়ে এই সব জিনিস বেরিয়ে পড়েছে। অষ্টম,নবম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুল ব্যাগে নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন মিলেছে। এই ঘটনার পর কর্নাটকের অ্যাসোসিয়েটেড ম্যানেজমেন্ট অফ স্কুলস (কেএএমএস) শহরের স্কুলগুলিতে নিয়মিত পড়ুয়াদের স্কুল ব্যাগে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
স্কুলের অধ্যক্ষ জানান,'বিষয়টি গুরুতর। অভিভাবকদের ডাকা হয়েছে। এমন ঘটনার কথা জেনে শুধু আমরাই নই পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও বিস্মিত। অভিভাবকরা বলেছেন, কয়েকদিন ধরে তাঁরাও সন্তানদের আচরণে পরিবর্তন দেখছেন।'
এত কম বয়সে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী থাকায় প্রশ্ন উঠছে নীতিশিক্ষা নিয়ে। ছাত্রছাত্রীদের সাসপেন্ড করে পরিস্থিতি আরও জটিল করতে চাইছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়তে পারে। কিশোরকিশোরীরা একগুঁয়ে হয়ে যেতে পারে। তাই আচরণের পরিবর্তনের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কেএএমএসের সাধারণ সম্পাদক ডি শশীকুমার বলেন,“আমরা কয়েকটি স্কুলের জলের বোতলগুলিতে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি, এমনকি অ্যালকোহলও পেয়েছি। শুধু তাই নয়,পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের মুখেও অশ্লীল ভাষা শুনতে পাচ্ছি। তারা ধমকাচ্ছে-চমকাচ্ছে। এটা সুস্থ প্রবণতা নয়।