BJP MLA Gangrape Case: মুখে প্রস্রাব-ভাইরাস ইঞ্জেকশন দিত, গণধর্ষণের অভিযোগ BJP-র MLA-র বিরুদ্ধে

নিজের অভিযোগে, বিজেপি কর্মী বলে দাবি করা ওই মহিলা জানিয়েছেন  যে ঘটনাটি ২০২৩ সালের ১১ জুন মাথিকেরেতে বিধায়কের কার্যালয়ে ঘটেছিল। মহিলা জানিয়েছেন যে বিধায়কের সহযোগীরা তাকে গাড়িতে করে অফিসে নিয়ে যান।

ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল
তিনি অভিযোগ করেন যে অফিসে পৌঁছানোর পর, বিধায়ক তার দুই সহযোগীর সঙ্গে মহিলাকে জোর  বিবস্ত্র করেন এবং পালানোর চেষ্টা করলে তার ছেলেকে হত্যা করার হুমকিও দেয়। এফআইআর অনুসারে, মুনিরত্ন  দুই ব্যক্তিকে মহিলাকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন যে বিধায়ক তার মুখে  প্রস্রাব করেছিলেন।

 দুরারোগ্য ভাইরাস
 বিধায়কের বিরুদ্ধে ওই মহিলা একটি বিপজ্জনক ভাইরাসে সংক্রামিত করার অভিযোগও রয়েছে। মহিলাটি জানান, ঘটনার সময় একজন লোক ঘরে প্রবেশ করে এবং বিধায়ককে একটি সাদা বাক্স দেয়। সেই বাক্স থেকে একটা সিরিঞ্জ বের করে মহিলাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। মহিলাটি জানান যে এই বছরের জানুয়ারিতে তার একটি দুরারোগ্য ভাইরাস ধরা পড়ে, যার পরে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

গণধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত
এই ঘটনায় জড়িত বিধায়কের তিন সহযোগীর নাম এফআইআর  নথিভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ অভিযুক্তের পরিচয় অজানা। পুলিশের মতে, বিজেপি বিধায়ক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ধারা ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) এবং ধারা ২৭০ (জীবনের জন্য বিপজ্জনক রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন মারাত্মক কাজ)।

 চলচ্চিত্র প্রযোজক থেকে রাজনীতিতে আসা মুনিরত্ন নাইডু কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক। মুনিরত্ন অতীতে কর্ণাটক সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীও ছিলেন। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি কর্ণাটকের পরিসংখ্যান মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।