Advertisement

রাওয়াত-মৃত্যুতে 'হাসি',স্বধর্ম ছেড়ে সনাতন-পথে আলি আকবর

বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ভাগ করে নিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক। তাতে দেখা যাচ্ছে, হাসির প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ।

আলি আকবর।
Aajtak Bangla
  • তিরুঅনন্তপুরম,
  • 11 Dec 2021,
  • अपडेटेड 7:53 PM IST
  • উদযাপনে হতাশ হয়ে ধর্মত্য়াগের ঘোষণা করলেন কেরলের নামজাদা ছবি পরিচালক আলি আকবর।
  • স্বধর্মে আর আস্থা নেই। তিনি ও তাঁর স্ত্রী লুসয়াম্মা সনাতন ধর্ম গ্রহণ করবেন।
  • নিজের মেয়েদের ধর্মবদলে জোর করবেন না।

চপার দুর্ঘটনায় ভারতের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্য়ুর পর শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। কিন্তু বেশ কিছু অংশ এই মৃত্যু রীতিমতো উদযাপন করেছে বলে খবর। এমন উদযাপনে হতাশ হয়ে ধর্মত্য়াগের ঘোষণা করলেন কেরলের নামজাদা ছবি পরিচালক আলি আকবর। তিনি জানান,নিজের ধর্মে ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন। স্ত্রীকে নিয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করবেন।

বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ভাগ করে নিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক। তাতে দেখা যাচ্ছে, হাসির প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। একটি ভিডিওবার্তায় এই ঘটনার নিন্দা করেছেন আলি আকবর। ঘোষণা করেছেন, স্বধর্মে আর আস্থা নেই। তিনি ও তাঁর স্ত্রী লুসয়াম্মা সনাতন ধর্ম গ্রহণ করবেন। ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন,''জন্মসূত্রে যে ধর্ম পেয়েছি তা ত্যাগ করছি। আজ থেকে আমি মুসলিম নই। আমি ভারতীয়। এটাই হাজারে হাজারে হাসির প্রতিক্রিয়া দেওয়া ব্য়ক্তিদের আমার জবাব।'' 

আরও পড়ুন- দুবাইয়ে চুরি মারাদোনার ঘড়ি, চোর ধরল অসম পুলিশ

আলি আকবরের কথায়,''কেরলের সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য রামসিমহানকে খুন করা হয়েছিল। আগামিকাল আলি আকবর রাম সিং হিসেবে পরিচিত হবেন। এটাই সেরা নাম। ১৯৪৭ সালে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করায় খুন হতে হয়েছিল রামসিমহান ও তাঁর পরিবারকে। রামসিমহান, তাঁর ভাই দয়াসিমহান, ভ্রাতৃবধূ কমলা, রান্নার লোক রাজু আইয়ার ও পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল কেরলের মল্লপুরম জেলায়। স্বাধীনতার ঠিক দু'সপ্তাহ আগে ১৯৪৭ সালের ২ অগাস্ট ঘটনাটি ঘটে।'' 

আরও পড়ুন- আশঙ্কা বাড়িয়ে মুম্বইয়ে ওমিক্রন আক্রান্ত ৩.৫ বছরের শিশু

সস্ত্রীক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেও নিজের মেয়েদের ধর্মবদলে জোর করবেন না বলে জানিয়েছেন আলি আকবর। মেয়েদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সম্মান জানাতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। এর আগে ২০১৫ সালে আলি আকবর অভিযোগ করেছিলেন, ছোটবেলায় মাদ্রাসায় পড়ার সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বলে রাখি, কেরল বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন আলি আকবর। নেতৃত্বের সঙ্গে মতানৈক্য জেরে সেই পদ ছাড়েন।

Advertisement

আরও পড়ুন- অন্য কারও অধিকার হরণ করে প্রকাশ্য়ে নমাজ নয়: খট্টর

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement