Advertisement

Shaheen Shaheed: জইশের মহিলা জঙ্গিদের নেত্রী ছিলেন UP-র এই লেডি ডাক্তার? চাঞ্চল্যকর তথ্য

সূত্রের দাবি, জেইএম প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার-ই নাকি এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন শাহিনকে। তদন্তকারীরা বিশ্বাস করছেন, তিনি সীমান্তের ওপারের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতেন এবং সামাজিক মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী মহিলাদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছিলেন।

শাহিন শাহিদ।-ফাইল ছবিশাহিন শাহিদ।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 11 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:45 PM IST
  • সূত্রের দাবি, জেইএম প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার-ই নাকি এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন শাহিনকে।
  • তদন্তকারীরা বিশ্বাস করছেন, তিনি সীমান্তের ওপারের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতেন এবং সামাজিক মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী মহিলাদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছিলেন।

ফরিদাবাদের জঙ্গি মডিউল মামলায় গ্রেফতার হওয়া উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসককে নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, লখনউয়ের বাসিন্দা ডাঃ শাহিন শাহীদকে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (Jaish-e-Mohammed)–এর মহিলা শাখা ‘জামাত-উল-মোমিনীন’-এর ভারতে প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

সূত্রের দাবি, জেইএম প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার-ই নাকি এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন শাহিনকে। তদন্তকারীরা বিশ্বাস করছেন, তিনি সীমান্তের ওপারের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতেন এবং সামাজিক মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী মহিলাদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছিলেন।

সম্প্রতি ফরিদাবাদে কাশ্মীরি চিকিৎসক মুজামিল শাকিলের ভাড়া নেওয়া দুটি ঘর থেকে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দিল্লির লাল কেল্লার কাছে হওয়া সাম্প্রতিক গাড়ি বিস্ফোরণের পিছনে এই মডিউলই কাজ করেছিল, যাতে ১০ জন নিহত হন।

তদন্তে আরও জানা গেছে, এই মডিউলের আরেক সন্দেহভাজন মোহাম্মদ উমর আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফরিদাবাদে সহযোগীদের গ্রেফতারের পর আতঙ্কে তিনি একাই বিস্ফোরণ ঘটান বলে সূত্রের দাবি।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশ এটিএস (Anti-Terrorism Squad) ইতিমধ্যেই শাহিন শাহিদের ভাই পারভেজের লখনউয়ের বাড়ি এবং মেডিকেল কলেজে তল্লাশি চালিয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শাহিন ২০১৩ সাল থেকে অননুমোদিত ছুটিতে ছিলেন। এবং বারবার নোটিশ পাঠানোর পরও কোনও সাড়া দেননি। অবশেষে ২০২১ সালে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়।

তদন্তে উঠে এসেছে, শাহিন পূর্বে জাফর হায়াত নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি কিছুদিন লখনউয়ে থাকতেন। এবং পরে ফরিদাবাদে চলে আসেন।

একজন সিনিয়র অধ্যাপক জানিয়েছেন, 'বিস্ফোরণ মামলায় শাহিনের নাম আসায় আমরা বিস্মিত। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে একজন ডাক্তার এমন জঙ্গি কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারেন।'

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি শাহিনের যোগাযোগ, আর্থিক লেনদেন ও অতীতের যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারও তাঁর কর্মজীবনের সব নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মামলা ভারতীয় মাটিতে নারী-নেতৃত্বাধীন জঙ্গি নেটওয়ার্কের এক ভয়ংকর অধ্যায় উন্মোচন করতে পারে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement