
Lionel Messi India visit: গুজরাতের জামনগরে অনন্ত আম্বানির বনতারা (Vantara) বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন লিওনেল মেসি। শুধু তাই নয়, মন্দির ও প্রকৃতির মাঝে বেশ কিছুক্ষণ কাটালেন তারকা ফুটবলাররা।
শিবপুজো, মহাআরতি থেকে শুরু করে বাঘের সঙ্গে ছবি তোলা, সব মিলিয়ে মেসির এই সফরের অন্য়তম হাইলাইট হয়ে থাকল এই ছবিগুলি।
অনন্ত আম্বানির বন্তারায় মূলত বন্যপ্রাণ উদ্ধার, পুনর্বাসন ও সংরক্ষণ করা হয়। সেখানেই ভারতীয় রীতিনীতিতে মেসিকে স্বাগত জানানো হয়। সনাতন ধর্মে প্রকৃতি ও জীবজগতের প্রতি যে শ্রদ্ধার কথা বলা হয়েছে, সেই ভাবনাই তাঁদের কাছে তুলে ধরেন অনন্ত। মন্দিরে পুজোও দেন মেসি। অম্বে মাতা পুজো, গণেশ পুজো, হনুমান পুজো এবং শিব অভিষেকে অংশ নেন। মহাআরতিতে যোগ দিয়ে বিশ্বশান্তি ও ঐক্যের প্রার্থনাও করেন তিনি।
মেসির সঙ্গে ছিলেন ইন্টার মায়ামির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো দে পল। তিনজনকেই ফুলের বর্ষণ, লোকসঙ্গীত ও আরতির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। ভারতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন মেসি।
পুজোর পর বন্তারা ঘুরে দেখেন তিনি। বিগ ক্যাট কেয়ার সেন্টারে বাঘ, চিতাবাঘ খুব কাছ থেকে দেখেন মেসি। কৃত্রিমভাবে তৈরি বন্য পরিবেশে কীভাবে এই প্রাণীদের দেখভাল করা হচ্ছে, তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। কয়েকটি বাঘ কৌতূহলী হয়ে তাঁর কাছাকাছিও চলে আসে। তবে পুরোটাই ফাইবার গ্লাসের ওপারে।
এর পাশাপাশি হার্বিভোর কেয়ার সেন্টার, রেপটাইল কেয়ার সেন্টার এবং মাল্টি-স্পেশালিটি ওয়াইল্ডলাইফ হাসপাতালও ঘুরে দেখেন মেসি। সেখানে আধুনিক চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কীভাবে আহত ও অসুস্থ প্রাণীদের চিকিৎসা করা হয়, তা দেখেন তিনি। ওকাপি, গণ্ডার, জিরাফ ও হাতিদের নিজের হাতে খাবারও খাওয়ান।
ফস্টার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে অনাথ ও দুর্বল বন্যপ্রাণীদের বিষয়ে বিভিন্ন গল্পও শোনেন মেসি। সেই সময়েই অনন্ত ও রাধিকা একটি শাবক সিংহের নাম রাখেন ‘লিওনেল’, মেসির সম্মানে। আবেগঘন সেই মুহূর্ত সকলের মন ছুঁয়ে যায়।
এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টারে একটি উদ্ধার হওয়া হাতির শাবক ‘মণিকালাল’-এর সঙ্গে ফুটবল খেলতেও দেখা যায় মেসিকে। মেসি বলেন, বন্তারায় বন্যপ্রাণীদের জন্য যে কাজ হচ্ছে, তা সত্যিই অনুপ্রেরণা দেয়। স্প্যানিশে মেসি জানান, এই অভিজ্ঞতা তিনি আজীবন মনে রাখবেন এবং ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাতে আবারও আসতে চান।