একুশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বহুল প্রচলিত স্লোগান ছিল 'খেলা হবে'। এই স্লোগানকেই প্রচারে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার ত্রিপুরায় একই স্লোগানকে হাতিয়ার করতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই তারা 'খেলা হবে' গান রিলিজও করেছে সেই রাজ্যে।
বাংলায় খুব ভালো ফলাফলের পর জাতীয় রাজনীতির দিকে আরও পাকাপোক্তভাবে পা বাড়াতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য পূরণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও করা হয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, মুকুল রায় তাঁকে এবিষয়ে সাহায্য করবেন। এক মাসের মধ্যে পরিকল্পনার ব্লুপ্রিন্টও তৈরি হবে।
আরও পড়ুন : শুভেন্দুকে মুকুলের পাল্টা, 'বহু MLA-র সঙ্গে কথা চলছে'
আর এই লক্ষ্য পূরণে তৃণমূলের প্রথম টার্গেট ত্রিপুরা। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার দায়িত্ব মুকুল রায়কে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। মুকুল কাজও শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপির বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে তাঁর।
সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূলে ছিলেন। আর তাঁর তৃণমূল ছাড়ার পর সেরাজ্যে ঘাসফুল শিবিরের সংগঠন কার্যত শেষ হয়ে যায়। তৃণমূলের আগে কংগ্রেস করতেন সুদীপ রায় বর্মণ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন বাংলার একাধিক সাংসদ, কাদের নাম থাকছে?
সম্প্রতি শোনা গিয়েছে, সুদীপের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের। ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে একটি আলাদা ফেসবুক পেজও খুলেছেন সুদীপ। সূত্রের খবর, সুদীপের এই ইমেজটাকেই ব্যবহার করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের লক্ষ্য সামনের ২০২৩-এর ত্রিপুরার ভোট। তার আগে বিজেপির কয়েকজন বিধায়ককে দলে টানতে পারলে লাভ হবে বলে মনে করছে মমতা ব্রিগেড।
প্রসঙ্গত, এই 'খেলা হবে' স্লোগান পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই স্লোগান ব্যবহার করতেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। এখন দেখার ত্রিপুরায় কতটা কাজে দেয় 'খেলা হবে'।