মণিপুরে আবারও হিংসা। এবার রোজগারের তাগিদে সেরাজ্যে গিয়ে মৃত্যু হল দুই পরিযায়ী কর্মীর। বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি কাকচিং জেলার। যে হামলাকারীরা দুই পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যা করেছে তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। দুই শ্রমিকই কাকচিং জেলার কেইরাকে নির্মাণ কাজ করে ফিরছিলেন। কাকচিং পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চায়েত অফিসের কাছে। নিহতরা হলেন সুনালাল কুমার (১৮) ও দশরথ কুমার (১৭)। দু'জনেই গোপালগঞ্জ জেলার রাজওয়াহি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন
কাকচিং পুলিশ জানিয়েছে, দুই শ্রমিকই সাইকেলে করে তাঁদের ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় বন্দুকধারীরা তাঁদের গুলি করে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে স্থানীয় জীবন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মামলা নথিভুক্ত, অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়েছে
পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে। হত্যার উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। উল্লেখ্য, 19 মাস ধরে হিংসার আগুনে পুড়ছে মণিপুর। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার পরিবারকে ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু শান্ত হওয়ার পরিবর্তে মণিপুর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে।
মণিপুরে কীভাবে হিংসা শুরু হয়েছিল?
গত বছরের ৩ মে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে কুকি সম্প্রদায়ের দ্বারা 'উপজাতি ঐক্য মার্চ' বের করার সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চুড়াচাঁদপুরের তোরবাং এলাকা থেকে এই পদযাত্রা বের হয়। মিতাই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে এই মিছিল বের করা হয়েছিল। এ সময় কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।