মানসিক রোগে আক্রান্ত ভারতীয়দের ৭ শতাংশ বিভিন্ন পর্যায়ের স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় ভোগেন। আগ্রার ইনস্টিটিউট অফ মেন্টার হেলথ অ্যান্ড হসপিটালের মানসিক রোগীদের ওপর চালানো এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট দীনেশ রাঠোর ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন যে, যখন রোগী অস্বাভাবিক আচরণ করেন বা নিজের পরিবারের থেকেই বিপদের আশঙ্কা করেন তখন সেটিকে স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় হিসেবে ধরা হয়। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ওপিডিতে প্রতিদিন প্রায় ২০০-২৫০ মানসিক রোগী আসেন। তাঁদের মধ্যে ২৫-৩০ বছর বয়সী রোগীদের প্রায় ৭ শতাংশের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার সিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ে। মানসিক ব্যাধিগুলির মধ্যে স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও, জনগণকে এই ব্যাধি সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। তাই ২৪মে আন্তর্জাতিক স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় দিবস হিসাবে পালিত হয়।
দীনেশ রাঠোর জানাচ্ছে, স্কিৎজোফ্রেনিক রোগীরা তাঁদের নিজস্ব কল্পনার জগতে বাস করেন এবং অদ্ভুতভাবে কথা বলেন। সেইসব রোগীরা মনে করেন, তাঁরা খুব শক্তিশালী, ধনী বা বিখ্যাত। এই পরিস্থিতিতে, ওষুধের মাধ্যমে ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আনতে রোগীদের অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কে সি গুরনানি ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মানসিক হাসপাতালগুলি শুধুমাত্র স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় রোগীদের জন্য খোলা হয়েছিল, কারণ এই ধরনের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার পরেই চিকিৎসা করা সম্ভব। পরে অন্যান্য মানসিক ব্যাধিগুলিও চিহ্নিত হয় এবং মানসিক হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ডাঃ গুরনানি আরও বলেন যে স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় জেনেটিক বা ইডিওপ্যাথিক হতে পারে। তবে সচেতনতা থাকলে এই ব্যাধি রোধ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন - মাত্র ২ দিনে কীভাবে Six pack abs বানালেন এই যুবক? ভিডিও Viral