নতুন বছরের শুরুতে আবারও অশান্ত মণিপুর। বুধবার গভীর রাতে মণিপুরের কেদাংবন্দ এলাকায় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। গুলি চালাল জঙ্গিরা। বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। পাশাপাশি, বোমাও ছুড়েছে তারা। গভীর রাত ১টা নাগাদ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। জঙ্গিদের পাল্টা জবাব দেন গ্রামের ভলান্টিয়াররা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। তবে গোলাগুলিতে হতাহতের খবর নেই।
সম্প্রতি উত্তর পূর্বের ওই রাজ্যে হিংসার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তার পর পরই হামলার ঘটনা ঘটল। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে হিংসার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।
মঙ্গলবার রাজধানী ইম্ফলে নিজ বাসভবনে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ এবং আগামী বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বীরেন। তারপরেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মণিপুর অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের ইস্যুতে লড়াই করছে। সরকার প্রয়োজনীয় ইনার লাইন পারমিট ছাড়া রাজ্যে প্রবেশকারী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সমস্যা শেষ করতে, আধার-সংযুক্ত জন্ম রেজিস্টার করে জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে, এই ব্যবস্থা তিনটি জেলায় কার্যকর করা হবে এবং আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি চালু হবে। জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হবে এবং প্রতি ৫ বছর পর পর আপডেট করতে হবে।'
তিনি আরও বলেছেন যে, মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, কাংপোকপি এবং চুরাচাঁদপুর এলাকা-সহ মোট ২,০৫৮টি বাস্তুচ্যুত পরিবারকে তাদের আসল বাড়িতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। উপরন্তু, মণিপুরের জাতীয় সড়কগুলিতে হিংসা প্রতিরোধ করার জন্য, সরকার যথাক্রমে- এনএইচ-২ (ইম্ফল-ডিমাপুর) এবং এনএইচ-৭ (জিরিবাম হয়ে ইম্ফল-শিলচর) -তে ১৭ এবং ১৮ টি অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। সিএম বীরেন সিং বলেছেন যে ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ কর্মীরা জাতীয় সড়কগুলির নিরাপত্তায় নিযুক্ত রয়েছে।