
ট্রেনে হালাল মাংস দেওয়া হচ্ছে সমস্ত যাত্রীদের। অভিযোগ উঠতেই তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। ঘটনা গড়িয়েছে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন পর্যন্ত। ভারতীয় রেলকে একটি নোটিশও পাঠিয়েছে মানবাধিকার রক্ষা কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় রেলের চেয়ারম্যানকে দেওয়া সেই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রেনে সমস্ত যাত্রীদের আমিষ খাবারে কেন হালাল মাংস থাকছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। এই কাজ বৈষম্যমূলক এবং এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। হিন্দু SC কমিউনিটির মানুষদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে এই ঘটনায়। হিন্দু SC কমিউনিটি জীবনধারনের জন্য মাংসর কারবার করে থাকেন। হালাল মাংস দেওয়ার অভিযোগে তারা ট্রেনে খাবার নিতে পারছেন না। শিখদের সঙ্গেও এমনটাই হচ্ছে। তারাই রেলের আমিষ খাবার নিতে অস্বীকার করছেন।
জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিটির প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রেলের চেয়ারম্যানকে এই মর্মে নোটিশ ইস্যু করেছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে রেলের থেকে এই ঘটনায় জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেল এবং IRCTC তাদের খাদ্য পণ্যের জন্য শুধুমাত্র FSSAI-এর নির্দেশিকা অনুসরণ করে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে। ভারতীয় রেলে হালাল সার্টিফায়েড খাবার পরিবেশনের কোনও সরকারি বিধান নেই।
‘হালাল’ শব্দটি ইসলাম সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত। মূলত আমিষ খাবারেই হালাল স্টিকার দেওয়া হয়। ইসলাম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, হালাল অর্থাৎ যে পশুর মাংস খাওয়া হয়। তাকে কী ভাবে হত্যা করা হচ্ছে, সেই বিষয়টিও হালালের সঙ্গে জড়িত। হালাল মাংস সাধারণত আড়াই পোচে জবাই করা হয়। হালাল বিধি অনুসারে, একটি ধারালো ছুরি দিয়ে কোনও পশুর গলার শিরা এবং শ্বাসনালীকে কেটে দেওয়া হয়। তবে, মেরুদন্ডের হাড় কাটলে চলবে না। ইসলাম রীতি মতে, জবাই করার সময় পশুর মুখ থাকে মক্কার দিকে এবং ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনাও করা হয়। এই নির্দিষ্ট বিধি মেনে পশু জবাই না করা হলে, তাকে হারাম বলে মেনে নেওয়া হয়। ইসলামি আইন অনুসারে সেই মাংস ভক্ষণ মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ।