গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সিদ্ধান্ত সবাইকে হতবাক করে দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, নতুন অর্থবর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হতে চলেছে নতুন সুদের হার।যা নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়েছিল মধ্যবিত্তদের কপালে। তবে ২৪ ঘণ্টাও কাটলো না। সেই সিদ্ধান্ত থেকে ইউ টার্ন নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানিয়ে দেওয়া হল স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমছে না। বৃহস্পতিবার সকালে ট্যুইট করে স্বয়ং সেকথা জানিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিক অনুযায়ী সুদের হার একই থাকবে। বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি যে প্রত্যাহার করা হচ্ছে, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, 'এখনই সুদের হারে কোনও পরিবর্তন ঘটছে না। বরং ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের যে হার ছিল, তা-ই অব্যাহত থাকবে।' তবে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) -এর সুদের আগের মতোই থাকবে, নাকি নয়া ঘোষণা অনুযায়ী কমবে, তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলা জানিয়েছেন যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হবে। ভুল করে অর্থমন্ত্রক ওই বিবৃতি প্রকাশ করেছিল।
বুধবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একাধিক স্বল্প সঞ্চয় এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)-এ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। করোনাকালের মাঝেই গতবছরের একই সময় থেকেই স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ০.৭০% পয়েন্ট থেকে কমিয়ে ১.৪০% পয়েন্ট পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার সুদের হার কমানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সব মহলে । অল্প সময়ের ফিক্সড ডিপোজিট, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, সিনিয়র সিটিজেন স্কিম-সহ স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশে ৫ রাজ্যে নির্বাচন চলছে। বাংলা ও অসমে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। সেই কারণেই কি সাতসকালে ট্যুইট করে ভুল করে অর্থমন্ত্রক ওই বিবৃতি প্রকাশ করেছিল বলে সাফাল দিলেন নির্মলা? সেই প্রশ্ন উকি দিতে শুরু করেছে।