
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের (Jacqueline Fernandez) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি (Nora Fatehi)। নোরার অভিযোগ, জ্যাকলিন তাঁর বিরুদ্ধে মানহানিকর অভিযোগ করেছেন। নোরা তাঁর আবেদনে বলেছেন, "জ্যাকলিন ফার্নান্দেস তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করে দিতে চায়। যেকারণেই মানহানি করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা উভয়ই একই শিল্পে কাজ করছেন, তাই নিজের স্বার্থে জ্যাকলিন তাঁর ক্ষতি করতে চাইছেন।
জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ এবং নোরা ফাতেহি দুজনকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মানি লন্ডারিং মামলার বিষয়ে।
নোরা অভিযোগ করেছেন, যে জ্যাকলিন নানা ধরনের মানহানিকর কথাবার্তা বলেছেন। জ্যাকলিন নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই নোরাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছেন!
জ্যাকলিন জানিয়েছিলেন সুকেশের থেকে উপহার নেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নোরা। যদিও বা এই অভিযোগকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন নোরা। পরবর্তীতেই মানহানির মামলা করেন অভিনেত্রী। নোরা জানিয়েছিলেন, সুকেশের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ একেবারেই ছিল না। বরং, তাঁর স্ত্রীর তরফেই একবার উপহার পেয়েছিলেন।
নোরা ফাতেহি জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে পিএমএলএ আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এ ব্যাপারে তার কোনও যোগাযোগ নেই। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না। তাঁর স্ত্রী লেনা মারিয়া পলের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। নোরা সুকেশের কাছ থেকে পাওয়া মহার্ঘ উপহারের বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।
এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, নোরা ফাতেহি এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, দুজনেই বিদেশী বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী। এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রে জমি তৈরি করতে দুজনকেই স্ট্রাগল করতে হয়েছে।
জ্যাকলিন ছাড়াও নোরা তাঁর মানহানির আবেদনে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের নামও দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে একাধিক সংবাদমাধ্যম জ্যাকলিনের কথায় তাঁকে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন : ছাত্রী সেজে ক্যান্টিনে আড্ডা, কলেজে র্যাগিং গ্যাং যে ভাবে ধরলেন এই লেডি অফিসার