Advertisement

Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে দুরমুশ ছোট ড্রোনে, কী এই আত্মঘাতী বিধ্বংসী LMS? 

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ দেখা গেল আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের নিখুঁত প্রয়োগ। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) সহ পাকিস্তানের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত, আর এই অভিযানের প্রধান অস্ত্র ছিল ছোট আকারের কিন্তু বিধ্বংসী LMS ড্রোন—যাকে 'আত্মঘাতী ড্রোন' বলেও ডাকা হয়।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 07 May 2025,
  • अपडेटेड 2:29 PM IST
  • ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ দেখা গেল আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের নিখুঁত প্রয়োগ।
  • পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) সহ পাকিস্তানের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত, আর এই অভিযানের প্রধান অস্ত্র ছিল ছোট আকারের কিন্তু বিধ্বংসী LMS ড্রোন—যাকে 'আত্মঘাতী ড্রোন' বলেও ডাকা হয়।

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ দেখা গেল আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের নিখুঁত প্রয়োগ। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) সহ পাকিস্তানের মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত, আর এই অভিযানের প্রধান অস্ত্র ছিল ছোট আকারের কিন্তু বিধ্বংসী LMS ড্রোন—যাকে 'আত্মঘাতী ড্রোন' বলেও ডাকা হয়।

এই হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি শাখা—বায়ুসেনা, স্থলসেনা এবং নৌসেনা একসঙ্গে অংশ নেয়। মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় LMS বা Loitering Munition System ড্রোন, যা শত্রুর ওপর আত্মবিসর্জন করে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। এই ড্রোনগুলি লো-লেভেল ফ্লাইটে শত্রুপক্ষের রাডার এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুর উপর আছড়ে পড়ে তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়।

কী এই LMS ড্রোন?
LMS ড্রোনের পূর্ণ রূপ হলো Low-cost Miniature Swarm Drone বা Loitering Munition System। এগুলো মূলত সস্তা, ছোট ও উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন আত্মঘাতী ড্রোন, যা দীর্ঘক্ষণ আকাশে ঘোরাফেরা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করে এবং তারপর সেই লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানে।

কেন এগুলিকে আত্মঘাতী ড্রোন বলা হয়?
এই ড্রোনগুলি একবার লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান শনাক্ত করলে, নিজের দেহ দিয়েই বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে এগুলিকে বলা হয় ‘আত্মঘাতী ড্রোন’। এই ধরনের ড্রোন অস্ত্রের ডিপো, রাডার, কমান্ড সেন্টার এবং জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর।

কীভাবে কাজ করে এই ড্রোন?
এই ড্রোনগুলি 'Swarm Technology' ব্যবহার করে, অর্থাৎ একাধিক ড্রোন একসঙ্গে বিভিন্ন কোণ থেকে আক্রমণ করে শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভ্রান্ত করে দেয়। এই কৌশলে প্রতিরক্ষা রাডার বিভ্রান্ত হয় এবং আক্রমণ আরও কার্যকর হয়।

ভারতেই তৈরি
ভারতের ডিআরডিও (DRDO) এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে তৈরি করেছে এই LMS ড্রোন। এতে রয়েছে হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজিং, জিপিএস নেভিগেশন, এবং কিছু মডেলে রয়েছে AI ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিও। এনটিআরও (National Technical Research Organisation) এই ড্রোনগুলিকে টার্গেট ট্র্যাক করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছে।

ছোট আকার, বড় ধ্বংস
এই ড্রোনগুলির গতি ঘণ্টায় ৫০ মাইলের মধ্যে হলেও, ছোট আকৃতির কারণে এগুলি সহজেই লুকিয়ে থাকা যায় এবং হঠাৎ আক্রমণে শত্রুপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে অবাক করে দেয়। মাত্র কয়েক ফুট দৈর্ঘ্যের এই ড্রোনগুলি যে কোনো জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়, এবং এগুলি আকাশপথে নিঃশব্দে ঘোরাফেরা করতে পারে।

Advertisement

অপারেশন সিঁদুরে এই অত্যাধুনিক আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ভারত দেখিয়ে দিল, ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্র কেবল সাহস ও শক্তির নয়, প্রযুক্তিরও খেলা। পাকিস্তানে এই হামলার পরে, স্পষ্ট যে ভারত আর কূটনীতির ভাষা নয়—প্রয়োজনে প্রযুক্তির আগুনেই জবাব দিতে প্রস্তুত।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement