রুপোলি পর্দা থেকে রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। 'আজতক পঞ্চায়েতে'র মঞ্চে বলি অভিনেত্রী জানিয়েছেন,বিজেপি টিকিট দিলে আগামী লোকসভা ভোটে হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রে দাঁড়াতে চান।' তাঁর স্পষ্ট কথা,'রাজনীতিতে যে কোনও ধরনের ভূমিকা পালন করতে চাই।' এনিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কী ভাবছে? পঞ্চায়েতের মঞ্চেই জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
কঙ্গনা রানাওয়াতের রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত নিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন,'আমরা চাই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসুন। উনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাজে মুগ্ধ। বিজেপিতে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।' তাহলে কি মান্ডি কেন্দ্রে কঙ্গনাকে টিকিট দেবেন? নাড্ডা জানান,'এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। কঙ্গনা দলে এলে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা কাউকে শর্ত দিয়ে দলে নিই না। কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে নেওয়ার রীতিও আমাদের নেই।'
যে কোনও ভূমিকায় কাজ করতে চান বলে জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। এনিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন,'আমাদের দলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা রয়েছে। তবে কে কোন দায়িত্বে কাজ করবেন তা ঠিক করে দলই।'
হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমালকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। এনিয়ে নাড্ডার বক্তব্য,'প্রেমকুমার ধুমলকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের। জনতার আবেগ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। সেটা আমরা সম্মান করি। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলছি। ধুমলজি নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন,তিনি নির্বাচনে লড়তে চান না৷' ধুমলের সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষের প্রশ্নে তাঁর জবাব,'সমর্থকের আবেগ রয়েছে। কখনও কখনও কয়েকজন সমর্থক অতিরিক্ত আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। এসব সামলানোর জন্য দলের নিজস্ব রীতিনীতিও রয়েছে।'
গতবার নির্বাচনে হারার জন্য কি অনুতপ্ত ধুমল? নাড্ডার কথায়,'ওঁর অনুশোচনা থাকতে পারে। তার মানে এই নয় যে কোনও বিরোধিতা ছিল। তিনি দলের শক্তিশালী নেতা।'প্রসঙ্গত, প্রেমকুমার ধুমল গত নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন। দু'বারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। কিন্তু এবার টিকিট পাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- গোসেবা থেকে মন্দিরে পুজো, 'গর্বিত হিন্দু' ঋষি সুনক, PHOTOS