২৪ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিতে হবে তাঁকে। সেই অনুষ্ঠানের আগে নিজেই ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। Narendra Modi, PM Narendra Modi, Shantiniketan,VisvaBharati University, নরেন্দ্র মোদী, শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের আগে বুধবার রাতে এনিয়ে নিজেই ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এরআগে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন। আম্রকুঞ্জের সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন। এবছর করোনা আবহে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।তবে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক অনুষ্ঠানে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার কবিগুরুকে স্মরণ করতে দেখা গেছে। দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-সহ বাংলার মনীষীদের নাম একের পর এক বলে যেতে দেখা গেছে মোদীকে। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতিও রবীন্দ্র ভাবনায় অনুপ্রাণিত, একথা বলেছিলেন নমো। বারবার মোদীর রবি-স্মরণ দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন বাংলার বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই সুচারু ভাবে তা করা হচ্ছে। একুশের নির্বাচনের আগে বিশ্বভারতীতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা তাই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতেস চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা আবহে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে পৌষমেলার আয়োজন থেকে এবার বিরত থাকতে হল বিশ্ববিদ্যালয়কে। তবে ঐতিহ্য মেনে একান্ত ঘরোয়া ভাবেই বিশ্বভারতী পৌষ উৎসব পালন করছে। এদিন ছাতিমতলায় উপাসনার মধ্য দিয়ে সূচনা হবে পৌষ উৎসবের। এর আগে ১৯৪৬ সালে একবার বন্ধ রাখা হয়েছিল পৌষমেলা। এ বছর অতিমারির কারণে ফের ছেদ পড়ল পৌষমেলায়। তাই মন খারাপ শান্তিনিকেতনের। তবে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারই প্রথম নয় আগেও দু'বার পৌষমেলা হয়নি। ১৯৪৩ সালে মন্বন্তরের সময় এবং ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলায় দাঙ্গার কারণে। ফের ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে পৌষমেলা বন্ধ থাকছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ শান্তিনিকেতনের।