সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। সাক্ষাৎকারে ৫ রাজ্যের আসন্ন নির্বাচন, কৃষক আন্দোলন, কংগ্রেস, বাজেটের মতো বিষয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। এমনকি এই প্রথমবার লখীমপুর খিরিকাণ্ডেও সরকারের অবস্থান জানালেন তিনি। অখিলেশ যাদব ও জয়ন্ত চৌধুরীকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুই ছেলের খেলা তিনি আগেও দেখেছেন। তাঁদের এতটাই অহঙ্কার ছিল যে 'গুজরাতের দুই গাধা' শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন। তারপর উত্তরপ্রদেশের জনতা তাঁদের হিসেব দেখিয়ে দেন।
প্রশ্ন- বিজেপির বিরুদ্ধে কি বিরোধী ক্ষমতা আছে?
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন বিজেপির দিকে ঢেউ রয়েছে। তাই ৫ রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে সেবা করার সুযোগ দেবে। যেখানে বিজেপি কাজ করা সুযোগ পেয়েছে সেখান মানুষ কাজ দেখেছেন। গরীব মানুষ বাড়ি পেলে, অপরের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয় যে তিনিও পাবেন। তাই যেখানে বিজেপির সরকার রয়েছে, সেখানে অ্যান্টি ইনকামবেন্সি নয়, প্রো ইনকামবেন্সি থাকে।
অনেক পরাজয় দেখেছি- প্রধানমন্ত্রী
মোদী বলেন হারের পরেই বিজেপি জিততে শুরু করেছে বিজেপি। তাঁরা অনেক পরাজয় দেখেছেন। জামানত বাজেয়াপ্ত হতে দেখেছেন। মোদী আরও বলেন, জনসংঘের সময় একবার পরাজয়ের পরেও মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছিল। করণ জিজ্ঞাসা করায় বলা হয়, ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত আটকানো গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের সমস্ত কাজ, সমস্ত যোজনাই মানুষের মন জয়ের জন্য। হার হোক বা জিত, তাঁরা সমস্ত নির্বাচন থেকেই শিক্ষা নেন।
সপা সরকারে অখিলেশের পরিবারের ৪৫ জন ব্যক্তি কোনও না কোনও পদে ছিলেন, এটা ভুয়ো সমাজতন্ত্র - মোদী
নরেন্দ্র মোদী বলেন, একবার কেউ তাঁকে চিঠি লিখে বলেন যে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির পরিবারের ৪৫ জন কোনও না কোনও পদে আছেন। পরবারের ২৫ বছরের ঊর্ধেব প্রত্যেককে ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো সমাজতন্ত্রের কথা বললেও এটা পুরোপুরি পরিবারতন্ত্র বলেই মন্তব্য করেন মোদী।
প্রশ্ন - আপনি অপরাধ মুক্ত উত্তরপ্রদেশের কথা বলেছেন, আপনার সমস্ত অভিযোগ সপা-র বিরুদ্ধ।
উত্তরে মোদী বলেন, যখন মানুষ উত্তরপ্রদেশের সুরক্ষার কথা বলেন, তখন প্রথমেই তাঁদের মনে গত সরকারে সময়ের সমস্যা মাফিয়া রাজের কথাই মনে পড়ে। খুব কাছ থেকে সেই পরিস্থিতি দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। মা-বোনেরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারতেন না। কিন্তু এখন তাঁরাই বলছেন সন্ধ্যায় কোনও কাজে বাড়িতে থেকে বেরোতে পারেন। এটা অনেক বড় বিষয়।
লখীমপুরকাণ্ডে কী বললেন মোদী?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে কমিটি তৈরি করতে চাইছে তাতে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য। যে বিচারকের নেতৃত্বে তদন্ত চাওয়া হয়েছিল, রাজ্য সরকার সম্মতি দিয়েছে। রাজ্য সরকার পারদর্শিতার সঙ্গে কাজ করছে। আর সেই জন্যই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত কাজ হচ্ছে।
প্রশ্ন - রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী নেতারা বিজেপির বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করেন না?
মোদী বলেন, বিজেপি এমন দল যারা বলে দেশের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় বৈচিত্রে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আগে বিদেশি নেতাদের সফর শুধু দিল্লিতে হত, কিন্তু তিনি চিনের রাষ্ট্রপতিকে তামিলনাড়ু নিয়ে গিয়েছেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিকে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে গিয়েছেন, জার্মানির চ্যান্সেলরকে কর্ণাটকে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করেছি। রাজ্য সরকারের সহায়তায় সেগুলিকে বাছআ হয়েছে। সেইসব জেলার সঙ্গে তিনি সরাসরি কথা বলেছেন। এখন এই জেলাগুলি অনেক রাজ্যেক ছাপিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন - ২৬ এপ্রিল শুরু CBSE-র দশম ও দ্বাদশের Term 2-এর পরীক্ষা