Advertisement

Prashant Kishor: কংগ্রেসেই প্রশান্ত? ২০২৪-এ ৫০% ফর্মুলায় মোদীকে হারানোর ছক

গতবছর সনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছিল প্রশান্তের। শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন ভোটকৌশলী। তবে তা আর এগোয়নি।

কংগ্রেসে প্রশান্ত কিশোর?কংগ্রেসে প্রশান্ত কিশোর?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Mar 2022,
  • अपडेटेड 10:47 PM IST
  • কংগ্রেসে প্রশান্তের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা।
  • পাঁচ রাজ্যে হারের পর নতুন করে কথা শুরু।
  • ৫০ শতাংশের ফর্মুলায় মোদীকে হারানোর ছক।

প্রশান্ত কিশোরের আগামীর অভিমুখ কি কংগ্রেস? জাতীয় রাজনীতি এটাই এখন জল্পনার বিষয়। আগেই শোনা গিয়েছিল, চলতি বছরের শেষে গুজরাট বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনাও নাকি চলছে! তবে আলোচনা কেবল গুজরাটের ভোট নিয়ে সীমাবদ্ধ নেই। বরং প্রশান্তের কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান নিয়ে থমকে যাওয়া কথাবার্তাই নতুন করে শুরু হয়েছে।                    

গতবছর সনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছিল প্রশান্তের। শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন ভোটকৌশলী। তবে তা আর এগোয়নি। পরে প্রশান্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, নানা কারণে থমকে গিয়েছে বিষয়টি। পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সেই আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ লোকসভা ভোটকেই পাখির চোখ করেছেন প্রশান্ত। তার আগে গুজরাট, কর্নাটক ও হিমাচলপ্রদেশের ভোট নিয়ে ভাবিত নন। বরং লোকসভার আগে কংগ্রেসকে দেশজুড়ে মজুবত করাই তাঁর লক্ষ্য। 

প্রশান্ত চাইছেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী বিকল্প। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, এমকে স্তালিন, উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রশেখর রাও, হেমন্ত সোরেন, জগন্মোহন রেড্ডিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রশান্তের। মমতা, জগন্মোহন, স্তালিনদের সঙ্গে ভোটকৌশলী হিসেবে কাজও করেছেন। নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জোড়া লেগেছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।                          
  
প্রশান্তের ৫০ শতাংশের ফর্মুলা

আরও পড়ুন

বিজেপিকে রুখতে তৃতীয় ফ্রন্ট বিকল্প হতে পারে না বলে আগেই বলেছিলেন প্রশান্ত। কংগ্রেসের উপরেই তাঁর বাজি। আর সেজন্য মুখোমুখি লড়াইয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ আসনে জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন ভোট কৌশলী। তাঁর মতে, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, মহারাষ্ট্র, আসাম, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াই কংগ্রেসের। ২০১৪ সাল থেকে এই রাজ্যগুলিতে ৯০ শতাংশ আসন হারিয়েছে কংগ্রেস। পিকে-র পরিকল্পনা, এই লোকসান ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে। অথবা কংগ্রেস যদি প্রতি দু'টি আসনের মধ্যে একটি জিততে শুরু করে, তখন দল শক্তিশালী হয়ে উঠবে। 

Advertisement

দিল্লির রাজনীতির গুঞ্জন, সেই ২০১৬ সাল থেকে গান্ধীদের সঙ্গে প্রশান্তের ঘনিষ্ঠতা শুরু। তবে শতাব্দী প্রাচীন দলে প্রশান্ত কিশোরের অন্তর্ভুক্তিতে দু'টি বড় সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, কংগ্রেসের সব সিদ্ধান্ত নেন গান্ধীরা। তাঁদের চেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি কেউ হন না। বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সাফল্য প্রশান্তকে নিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক উচ্চতার শিখরে। 'দরাদরি'তে তিনি সুবিধাজনক অবস্থায়। ফলে তাঁর পক্ষে কংগ্রেসে কি স্বাধীনভাবে আদৌ কাজ করা সম্ভব? আর প্রশান্তের সিদ্ধান্তই বা কতখানি মেনে নিতে পারবেন সনিয়া, রাহুলরা? গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতারাও প্রশান্তকে তেমন পছন্দ করেন না।         

প্রশান্ত কংগ্রেসের সংগঠনে আমূল বদলের সওয়াল করেছেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেসের সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন চান তিনি। তাতে কতখানি স্বচ্ছন্দ কংগ্রেস সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে কতটা যুক্তিযুক্ত! প্রশান্তের যুক্তি, কঠিন পরিস্থিতিই সাংগঠনিক রদবদলের আদর্শ সময়।                     

আপাতত কংগ্রেস ও পিকের কথাবার্তা চলছে। সূত্রের খবর, আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement