'রাজনীতিতে এখন যুক্তি-তর্কের বড্ড অভাব। সেই কারণে মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। প্রগতি আটকে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে মোদী অথবা রাহুল গান্ধির ভক্ত করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। আর এতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে বিরোধী দলগুলির।' ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বললেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
ওই সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, 'এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এই ব্যবস্থার দ্রুত সংশোধন সম্ভব নয়। এই চ্যালেঞ্জগুলি বড় এবং জটিল। এই সমস্যার সমাধান করতে গেলে সমঝোতা ও যুক্তি-তর্কের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।'
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর অন্যতম কারিগর পিকে-র মতে, 'একটি জাতি হিসাবে, আমরা এখন সবাই যেন টি-টোয়েন্টি মোডে চলে এসেছি। সবার মনোভাব এমন যেন, সবকিছুর নিষ্পত্তি একদিনে করতে হবে। উত্তর হতে হবে হ্যাঁ অথবা না। কিন্তু, এভাবে চলা সম্ভব নয়।'
কংগ্রেসের সভাপতিত্ব থেকে রাহুল গান্ধির সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে পিকে বলেন, 'আমি সোনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেসের জয়ের রেকর্ড দেখেছি। কারণ তিনি ২৫ বছর কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর নির্বাচনী জয়ের হার প্রায় ৩১-৩২ শতাংশ। কিন্তু, রাহুল গান্ধি যখন সভাপতি ছিলেন, তখন তাঁর হার আরও কিছুটা ভালো ছিল। প্রায় ৩৪-৩৫ শতাংশ। দুটিই খুব ভালো রেকর্ড, একথা একেবারেই বলা যাবে না। তবে ২০১৯ সাল থেকে কেউ জানে না যে, দলের নেতা কে। আর তখনই তাদের ভোটের হার কমে গেল।'