
বেশকিছু দিন ধরেই দু'হাজার টাকার নোট একেবারেই অমিল। এটিএম থেকেও ওই গোলাপি নোট বেরোচ্ছে না। নোটবন্দির পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ওই নোট এনেছিল। কিন্তু মনে করুন তো, কবে শেষ আপনার হাতে ওই নোট এসেছিল। অনেকেই মনে করতে পারবেন না। এর উত্তর মিলেবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক প্রতিবেদনে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এই বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে দু'হাজারের ঘাটতির বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
ব্যাঙ্ক জানিয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দুহাজারের একটি নোটও ছাপা হয়নি। এই কারণে বাজারে দু'হাজার টাকার নোট কমেছে।
২০২৬ সালের নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দু'হাজারের নোট চালু করেছিল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর, পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হয়।
২০১৭-১৮ সাল দু'হাজারের নোটের সবথেকে বেশি প্রচলন ছিল। ওই সময়ে বাজারে দু'হাজারের ৩৩,৬৩০ লক্ষ নোট ছাড়া হয়। যার মোট মূল্য ৬.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। সরকার আরবিআই-য়ের সঙ্গে আলোচনা করার পর থেকেই ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দু'হাজার টাকার একটি নোটও ছাপেনি।
পাশাপাশি, ব্যাপক ভাবে বাড়ছে জাল নোটের সংখ্যা। যা কার্যত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় জাল নোট ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দুহাজার ছাপানো বন্ধ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। পাঁচশো টাকার নোটের ক্ষেত্রেও প্রত্যেক তিনমাস পরপর নোট ছাপানোর মেশিনকে টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।