
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দু'দিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। দীর্ঘ চার বছর পর ভারত সফরে এলেন পুতিন। আজ, ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার পুতিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য সহ একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে আজ।বৃহস্পতিবার কালো স্যুট-বুটে পুতিন দিল্লির মাটিতে পা রাখেন। বিমান থেকে নামার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে স্বাগত জানান। সমস্ত প্রোটোকল ভেঙে তিনি তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে পৌঁছন।
পুতিনের দুই দিনের ভারত সফর শেষ। রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের পর পালাম বিমানবন্দরে যান। মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একাধিক উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে রয়েছে অহমিয়া কালো চা, একটি রুপোর চা সেট, রুোর ঘোড়া, পাথরের দাবার সেট, কাশ্মীরি জাফরান এবং রাশিয়ান ভাষায় গীতা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ। সন্ধেয় পুতিন এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদল হাজির হন রাষ্ট্রপতি ভবনে। রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং ভিভিআইপিরা।
রাষ্ট্রপতি ভবনে ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে নৈশভোজ। সন্ধেয় পৌঁছলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে করমর্দন করে স্বাগত জানালেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
আইটিসি মৌর্য হোটেল থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। নৈশভোজে পৌঁছে গিয়েছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল। পুতিনের শীঘ্রই যোগ দেওয়ার কথা। নৈশভোজে ভারতীয় এবং রাশিয়ান খাবার পরিবেশন করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।
ভারত মণ্ডপমে বিজনেস ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন,'আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম নীতি অনুসরণ করছে ভারত। আজ ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী আর্থিক নীতি এবং 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর মতো যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। ভারত প্রযুক্তিগতভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। ভারতের আইটি এবং ওষুধ বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে। রাশিয়া এবং ভারত কয়েক দশক ধরে নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে, এটি রেকর্ড ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য গত বছর রাশিয়া-ভারত বাণিজ্য ৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া এবং ভারত উভয়েরই বিশাল উপভোক্তা বাজার রয়েছে। আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নেতৃত্বে ভারত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম নীতি অনুসরণ করছে। চমৎকার ফল করছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও'।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন,'ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শক্তি হল আমাদের যৌথ চেষ্টাকে দিশা এবং গতি দেওয়া। এটা আমাদের নতুন স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। গত বছর পুতিন এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম। কিন্তু গতকাল পুতিনের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় বুঝতে পেরেছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই সেই লক্ষ্য অর্জনের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের শক্তি, উদ্ভাবন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা দুই দেশের ভবিষ্যৎকে রূপ দিচ্ছে। গত ১১ বছরে ভারত যে বদলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তা অভূতপূর্ব। সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং পরিবর্তনের নীতি অনুসরণ করে, ভারত দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার দিকে এগোচ্ছে। আমরা ক্লান্ত নই। থামিনি। আমাদের সংকল্প আগের চেয়েও দৃঢ়। আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। আমাদের লক্ষ্যের দিকে খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসা করার সরল নীতি আনা হয়েছে। সেজন্য জিএসটি সংস্কার করেছি। দুই দেশের মধ্যে পর্যটন বৃদ্ধি পাবে। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে'।
বিজনেস ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমরা বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির পথ খুলে দিয়েছি। নতুন সুযোগের সূচনা হবে। আমরা অসামরিক পারমাণবিক খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছি। এটি কেবল প্রশাসনিক সংস্কার নয়, বরং মানসিকতার সংস্কার। এর পিছনে রয়েছে একটাই সংকল্প: বিকশিত ভারত।"
সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ডিনারে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তবে নিমন্ত্রিত হয়েছেন শশী থারুর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে সম্বোধন করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর জন্য যেভাবে ডিনারের আয়োজন করা হয়েছিল, তার জন্যও ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'শীঘ্রই রুশ নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ই-টুরিস্ট ভিসা এবং ৩০ দিনের গ্রুপ টুরিস্ট ভিসা চালু করব।'
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করবেন। ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে হওয়া একধিক চুক্তিগুলির বিষয়ে সকলকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অস্থায়ী শ্রমিকদের গতিবিধি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই সমঝোতা দুই দেশের নিজস্ব সংযোগকে আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত দুই দেশ অর্থনৈতিক সমঝোতা চুক্তি বজায় রাখবে।
হায়দরাবাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষার বিষয়ে রাশিয়া-ভারতের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হল।
ভারত-রুশ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার সময় মোদী বলেন, 'প্রথমবার ভারত আসার পর ২৫ বছর হয়ে গিয়েছে। ওই প্রথম সফরেই দুই দেশের রাজনৈতিক সমঝোতা তৈরি হয়েছিল। আমার জন্য এটাও ভাল খবর যে আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্কেরও ২৫ বছর হয়ে গেল।...'
ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগের প্রতি ভারতের পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, "আমাদের সম্পর্কের নজির ইতিহাসেও রয়েছে।"
হায়দরাবাদ হাউসে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের শুরুতেই মোদী বলেন, আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেন শীঘ্রই শান্তির পথ খুঁজে পাবে। এরপরই ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দিলেন পুতিনও।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত নিরপেক্ষ নয় তবে শান্তির পক্ষে। এমনটাই পুতিনকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হায়দারবাদ হাউসে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা।
হায়দরাবাদ হাউসে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এই বৈঠকের শুরুতেই মোদী বলেন, আশা করি রাশিয়া ও ইউক্রেন শীঘ্রই শান্তির পথ খুঁজে পাবে, পুতিনকে জানালেন পিএম মোদী।
রাজঘাট থেকে হায়দরাবাদ হাউসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতিমধ্যেই দুই নেতার বৈঠকও শুরু হয়েছে। আলোচনা হতে পারে প্রতিরক্ষা খাত ও বাণিজ্যিক বিষয়ের নানা চুক্তি নিয়ে।
রাজঘাট থেকে হায়দরাবাদ হাউসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এখানেই একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন দুই নেতা। এই বৈঠকে মস্কোর সঙ্গে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে নয়াদিল্লি।
প্রেসিডেন্ট পুতিন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে রাজঘাটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। সেখান থেকে তিনি হায়দরাবাদ হাউসের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।
রাজঘাটে পৌঁছে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অফ অনার গ্রহণের পর রাজঘাটে আসেন পুতিন। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর যাবেন হায়দরাবাদ হাউসে।
রাষ্ট্রপতি ভবনে ইতিমধ্যেই ২১ গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। এবার রাজঘাটে পুষ্পস্তবক অর্পন অনুষ্ঠানে সামিল হবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে পৌঁছলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এসে পৌঁছানোর পরই তাঁকে ২১-গান স্যালুট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শীঘ্রই পুতিনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগত জানানো হবে। গার্ড অফ অনার প্রদানের জন্য চলছে প্রস্তুতি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আনুষ্ঠানিক স্বাগত এবং গার্ড অফ অনার প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রস্তুতি চলছে। বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস. জয়শঙ্কর, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি.কে. সাক্সেনা এবং সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান সহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন, অমরত্ব কি পাওয়া সম্ভব? আজতক-এর Exclusive সাক্ষাৎকারে বড় দাবি প্রেসিডেন্ট পুতিনের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে দিল্লিতে ব্যাপক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করল পুলিশ। প্রকৃতপক্ষে আজ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে পুতিনের। এদিন সকাল ১১ টায় পুতিন আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন পুতিন। সকাল ১১টা ৫০-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। দুপুর ১টা ৫-এ হায়দরবাদ হাউসে রয়েছে যৌথ সংবাদ সম্মেলন। এরপর সন্ধ্যে ৭ টায় পুতিন রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। রাত ৯ টায় রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের জন্য শুক্রবার দিল্লির কিছু অংশে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ডব্লিউ পয়েন্ট, এ পয়েন্ট, আইটিও চক, বিএসজেড মার্গ, দিল্লি গেট, জেএলএন মার্গ, রাজঘাট ক্রসিং, শান্তি ভ্যান ক্রসিং, হনুমান সেতু ওয়াই পয়েন্ট, নেতাজি সুভাষ মার্গ, নিশাদ পয়েন্ট, নিশাদ রাজঘাট, নিশাদ রাজঘাট, এফএমজি মারগ বাইতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে নয়াদিল্লি। তার আগে রুশ বাণিজ্যমন্ত্রী রেশেটনিকোভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি জানান, " খাদ্য ও কৃষি, ওষুধ, বস্ত্র, অটোমোবাইল এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা দৃঢ় ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
ভারত সফরে আসার আগে আজতক-এর ম্যানেজিং এডিটর অঞ্জনা ওম কাশ্যপ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স এডিটর গীতা মোহনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। সেখানে তিনি বলেন, 'ভারত ভাগ্যবান যে পিএম মোদী হিন্দুস্তানে থাকেন। উনি ভারতে শ্বাস নেন।'
সকাল ১১:০০ টা: পুতিন আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন।
সকাল ১১:৩০ টা: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সকাল ১১টা ৫০: প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ।
দুপুর ১টা ৫০: হায়দরবাদ হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলন।
সন্ধে ৭:০০ টা: পুতিন রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
রাত ৯:০০ টা: রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। ৩০ ঘণ্টার সফর এখানেই শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিনের মধ্যে আজকের বৈঠকটি নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ তেল সরবরাহ বৃদ্ধি, পরমাণু শক্তি খাতে সহযোগিতার জন্য নতুন বিকল্প অনুসন্ধান এবং S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং Su-57 যুদ্ধবিমানের মতো প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুতিনের এই সফর পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশে ভারত-রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্বের শক্তি এবং অব্যাহত গুরুত্বের উপর জোর দেয়। রাশিয়ার রোসাটমের সঙ্গে ছোট মডুলার পরমাণু চুল্লি (এসএমআর) নির্মাণের জন্য একটি চুক্তিও আজ চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ বৈঠক করতে চলেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁরা তেল সরবরাহ থেকে শুরু করে নিউক্লিয়ার এনার্জি, এস৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, এসইউ ৫৭ ফাইটার জেট সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন।
ইন্ডিয়া টুডে-এর সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা একটি 'অসাধারণ আনন্দ'-এর বিষয় ছিল। তিনি মোদীকে "সৎ ব্যক্তি" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি বলেন, 'আমাদের মধ্যে খুব বিশ্বস্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। সেই অর্থে, আমি খুব আন্তরিকভাবে বলছি। ভারত ভাগ্যবান। তিনি ভারতে বেঁচে আছেন এবং শ্বাস নেন।'
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুতিনকে রুশ ভাষায় লেখা গীতা উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই ছবি শেয়ার করেন। পুরো খবরটি পড়ুন এই লিঙ্কে।
৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে এসেছেন পুতিন। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দিনভর নানা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শুক্রবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি হতে পারে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে আজ। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে আরও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টায় পুতিন রাশিয়া ফিরবেন।
রাশিয়ার এডুকেশন এজেন্সি সিনার্জি কর্পোরেশন এবং ইনোপ্রাক্টিকা.ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা নেওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং সুযোগ বৃদ্ধির জন্য নয়াদিল্লি শাখা খুলেছে।
সিনার্জি কর্পোরেশনের সভাপতি ভাদিম লোবভ বলেন, এই এডুকেশন এজেন্সি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তিনি বলেন, "আজ আমাদের দেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সফরের জন্য অপেক্ষা করছি। আমি নিশ্চিত যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলি আবির্ভূত হবে। এটি আমাদের দেশের মধ্যে বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ হবে।"
তিনি আরও বলেন, অনেক ভারতীয় ইতিমধ্যেই উচ্চ শিক্ষার জন্য রাশিয়া ভ্রমণ করেন। নতুন এই সংস্থাটি রাশিয়া এবং ভারতের জনগণের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করবে।