প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর এবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা নিয়ে উঠল বড়সড় প্রশ্ন। বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রায় পঞ্জাবে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর নিরাপত্তায় যাতে কোনওরকম গাফিলতি না থাকে তার জন্য সচেষ্ট প্রশাসন। তারপরেও উঠে এল নিরাপত্তায় বড়সড় ত্রুটির ছবি। হোসিয়ারপুরে দসুহাতে পদযাত্রা করার সময় নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ভেঙে রাহুল গান্ধীর কাছে পৌঁছে যান এক যুবক। এরপর রাহুলকে জড়িয়েও ধরেন তিনি। যদিও রাহুলের আশেপাশে উপস্থিত লোকজন ও নিরাপত্তকর্মীরা দ্রুত ওই যুবককে সরিয়ে নিয়ে যান।
শুধু তাই নয়, পথে এক জায়গায় চা খাওয়ার জন্য বিরতি নেন রাহুল গান্ধী। সেখানেও এক ব্যক্তি রাহুলের কাছে পৌঁছে যান এবং তাঁর সঙ্গে ছবি তুলে চলে যান। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভবেই রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বড়সড় প্রশ্ন।
নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ
এর আগে গতবছরই রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। সেই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠিও লেখে কংগ্রেস শিবির। তাদের অভিযোগ ছিল, রাহুলের নিরাপত্তায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ দিল্লি পুলিশ। কংগ্রেস মহাসচিব চিঠিতে লেখেন, ভারত জোড়া যাত্রা দিল্লিতে পৌঁছনোর পর বেশ কয়েকবার রাহুলের নিরাপত্তায় ফাঁক নজরে এসেছে। আর পুলিশ সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রসঙ্গত, জেড প্লাস সিকিউরিটি পান রাহুল গান্ধী।
কেসি ভেনুগোপাল অভিযোগ করে বলেন যে, এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে এবং জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাল্টা এর জবাবে সিআরপিএফ জানায়, যাত্রা সঞ্চালকেরা নিরাপত্তা বিধি মানেননি।
এদিকে পঞ্জাব ও জম্মুকাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা এজেন্সিগুলি। সূত্রের খবর রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তায়, অ্যাডভান্স সিকিউরিটি লিয়াজোন, ৫৮ জন কমান্ডো, ১০ জন সশস্ত্র স্ট্যাটিক গার্ড, ৬ জন পিএসও ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন থাকে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কর্ণাটকের হুবলিতে ব্যারিকেড ভেঙে প্রধানমন্ত্রীকে মালা পরাতে যায় এক যুবকও।
আরও পড়ুন - প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক বাধ্যতামূলক করল কেরালা সরকার, আরও যা যা মানতে হবে...