সাভারকরের ছবি নিয়ে উত্তাল কর্নাটক। সে রাজ্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং স্পিকার বিধান সৌধে দেশের অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের (Vinayak Damodar Savarkar) ছবি টাঙিয়েছেন। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাল্টা জওহরলাল নেহরুর ছবি হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস নেতারা। সবমিলিয়ে ফের সাভারকর ইস্যুতে উত্তপ্ত কর্নাটক।
সোমবার থেকে কর্নাটক বিধানসভায় (Karnataka Assenbly) শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশন শুরুর দিনই বিধানসভার অন্দরে সাভারকরের ছবি টাঙানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। শুধু সাভারকর নয়, এদিন বিধানসভায় মহাত্মা গান্ধী, স্বামী বিবেকানন্দ, ড. বি আর আম্বেদকর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ছবিও উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই। বিধানসভার অন্দরে সাভারকারের ছবি টাঙানো নিয়ে আপত্তি জানায় কংগ্রেস। বিজেপির এই পদক্ষেপের পালটা নেহরুর ছবি হাতে নিয়ে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা সিদ্দিরামাইয়া, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি শিবকুমার-সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতা-নেত্রী।
এ প্রসঙ্গে এদিন শিবকুমার বলেন, আমি স্পিকারের কাছে জানতে পারি, আজ বিধানসভার হলে আম্বেদকরের ছবি উন্মোচন করা হবে। এখানে এসে জানতে পারলাম সাভারকরের ছবিও উন্মোচন করা হবে। এরপরই প্রতিবাদ জানাই। সাভারকরের একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। কর্ণাটক ও ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বরং কর্ণাটকের উন্নয়ন, সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বদের ছবি বিধানসভায় টাঙানো হোক।
কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দিরামাইয়ার দাবি, শীতকালীন অধিবেশনে আমরা যাতে বিক্ষোভ দেখাই তাই এই কৌশল নিয়েছে বিজেপি। কারণ অধিবেশনে দুর্নীতি নিয়ে সরব হতাম আমরা। তাতে চাপে পড়ত বিজেপি। সেই আলোচনা এড়াতেই এই কৌশল নিয়েছে ওরা।
বিজেপির পালটা দাবি, কর্ণাটকের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সাভারকর। তাই তাঁকে সম্মান জানাতেই বিধানসভার অন্দরে তাঁর ছবি টাঙানো হল। যদিও সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী। সবমিলিয়ে ফের একবার সাভারকর ইস্যুতে উত্তাল কর্ণাটক।
আরও পড়ুন- প্রেমিকা OYO-তে নিয়ে গিয়ে খুন! বেপাত্তা ভুয়ো পরিচয় দেওয়া প্রেমিক