Scotch Whisky India: স্কচ-হুইস্কির দাম প্রচুর। সাধারণ সুরাপ্রেমীদের অধিকাংশেরই বাজেটের বাইরে। তবে ইংল্যান্ড-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের দৌলতে সেটা বদলাতে পারে। বুধবার থেকে দুই দিনের ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। আর তাঁর এই সফরের হাইলাইট স্কচ হুইস্কি। ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি (FTA) হয়েছে, তার ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে স্কটল্যান্ডের এই বিখ্যাত মদ শিল্প। ব্রিটিশ সরকারের মতে, এই চুক্তির ফলে স্কটল্যান্ডের অর্থনীতি বছরে প্রায় ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধি পাবে।
স্কচ হুইস্কি কী?
স্কচ হুইস্কি হল এক ধরনের বিশেষ উচ্চমানের মদ। স্কটল্যান্ডে চাষ হওয়া বিশেষ প্রজাতির যব (barley) থেকে এটি তৈরি হয়। প্রথমে যবকে গুঁড়ো করে গরম জলে ভিজিয়ে ফারমেন্ট করা হয়। এতে প্রাকৃতিকভাবে অ্যালকোহল তৈরি হয়। তারপর সেই তরলকে ডিস্টিলেশন প্রক্রিয়ায় ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সংগ্রহ করা হয়। এরপর এটি ওক কাঠের পিপেতে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় অন্তত তিন বছর রাখা হয়। এই সময়ে হুইস্কির রং, সুগন্ধ ও স্বাদ আরও ডেভেলপ করে। স্কটল্যান্ডের বাইরের কোনও দেশে তৈরি হুইস্কিতে এই নির্দিষ্ট ফ্লেভার আসে না। আর সেই কারণেই, স্কটল্যান্ডের বাইরে তৈরি হওয়া হুইস্কিকে স্কচ বলা যায় না।
ভারত সফরে এই হুইস্কি নিয়ে আলোচনা কেন?
ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে জানানো হয়েছে, স্টারমারের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলে স্কচ হুইস্কি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা রয়েছেন। তাঁরা ভারতে এসে দেখবেন, এদেশের বাজারে কীভাবে আরও বেশি পরিমাণে স্কচ বিক্রি করা যায়। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের অনুমান, ভারতের বাজার থেকে বছরে ১ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি আয় হতে পারে ব্রিটেনের। এর পাশাপাশি মার্কেট বাড়লে ব্রিটেনেও ১,০০০ এরও বেশি নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে।
এই নতুন India-UK Comprehensive Economic and Trade Agreement (CETA) কার্যকর হলে ভারতের বাজারে স্কচ হুইস্কির উপর আমদানি শুল্ক বা ট্যাক্স অনেকটাই কমে যাবে। অর্থাৎ, ভারতীয়দের জন্য স্কচ হুইস্কি আরও সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে যাবে।
এতে ভারতের লাভ কী?
এই চুক্তিতে শুধু হুইস্কিই নয়, স্কটল্যান্ডের আরও অনেক পণ্যের রফতানির প্রবণতা বাড়বে। যেমন ধরুন, শর্টব্রেড (এক ধরনের মিষ্টি বিস্কুট) ও জনপ্রিয় পানীয় আয়রন ব্রু। ব্রিটিশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা প্রায় ২৫.৫ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এতে ব্রিটেনের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান দুই-ই বৃদ্ধি পাবে।