নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে চলেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেই কারণে নতুন চেয়ারম্যানের জন্য আবেদনপত্র জমা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক বিষয়ক দফতরের (ফাইনান্সিয়াল মার্কেটস ডিভিশন) তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'মুম্বইয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)-র চেয়ারম্যান পদের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের আবেদনপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। নিয়োগের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর অথবা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রযোজ্য, এর মধ্যে যেটি আগে ঘটবে।'
SEBI চেয়ারম্যানের বেতন ও সুযোগসুবিধা
সেবি-র চেয়ারম্যান পদের জন্য দু'ই ধরনের বেতনের অপশন রয়েছে— কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবের সমতুল্য বেতন-সুযোগসুবিধা অথবা মাসিক ৫,৬২,৫০০ টাকার বেতন, যেক্ষেত্রে বাড়ি বা গাড়ির কোনও বাড়তি সুবিধা থাকবে না।
মাধবী পুরী বুচের মেয়াদ শেষের দিকে
২০২২ সালের ২ মার্চ সেবি চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন মাধবী পুরী বুচ। সেবি-র ইতিহাসে প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর তিন বছরের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগে, ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সেবি-র ফুলটাইম সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সেবি চেয়ারম্যান পদের ইতিহাস
সাধারণত সেবি চেয়ারম্যানের মেয়াদ তিন বছরের হয়, যদিও অতীতে কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউ কে সিনহা টানা ছয় বছর দায়িত্বে ছিলেন (২০১১-২০১৭), আর তাঁর পরবর্তী, অজয় ত্যাগী পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন (২০১৭-২০২২)।
মাধবী পুরী বুচের মেয়াদ ছিল চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ
মাধবী পুরী বুচের মেয়াদকালে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত বিতর্ক। শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এবং কংগ্রেসের সমালোচনায় সেবি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে, আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত অফশোর ফান্ড এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে সেবি-র তদন্ত পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে।
তাঁর মেয়াদকালে সেবি কর্মীদের একাংশ 'টক্সিক ওয়ার্ক এনভায়রনমেন্ট'-এরও অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে পরে এই সমস্যার সমাধান হয়।
সেবি-র নতুন চেয়ারম্যান কার্যপদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনেন, এখন সেটাই দেখার।