Sharmistha Panoli Case: শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে মামলা করা ব্যক্তিই নিখোঁজ! দাবি তাঁর বাবার

শর্মিষ্ঠা পানোলি কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন গত শুক্রবার গভীর রাতে। ঘটনাটি ঘটে গুরগাঁওয়ে। এরপর তাঁকে কলকাতায় আনা হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পানোলির গ্রেফতারিকে ঘিরে রবিবার রাজনৈতিক মহলে প্রবল বিতর্ক ছড়ায়। বিজেপি-র একাধিক নেতা তাঁর মুক্তির দাবি তোলেন।

যে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন পানোলি, সেটিতে অশ্লীল ভাষা এবং সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, বলিউডের মুসলিম সেলেব্রিটিরা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ঘটনার পরে চুপ করে রয়েছেন। সেই ভিডিওটি পরে মুছে দেওয়া হয় এবং পানোলি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।

পানোলির গ্রেফতারির পরে অভিযোগকারী ওয়াজাহাত খানকে হুমকি ফোন আসতে শুরু করে, এমনটাই দাবি করেছে তাঁর পরিবার। আজ তকের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াজাহাতের বাবা সাদাত খান বলেন, 'আমার ছেলে নির্দোষ এবং ধর্মনিরপেক্ষ। ও কখনও হিন্দুধর্মকে অপমান করতে পারে না। পানোলির গ্রেফতারির পর থেকেই আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।'

এক সাংবাদিক যখন সাদাত খানকে প্রশ্ন করেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে হিন্দুধর্মকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে, তখন তিনি জানান, ওয়াজাহাতের প্রোফাইল হয়তো হ্যাক হয়েছে। তাঁর দাবি, ছেলের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে বহু কুৎসিত এবং হুমকিসূচক ফোন এসেছে। এসব ফোনে বলা হয়েছে, ও নাকি পানোলির জীবন নষ্ট করেছে। সাদাত খান নিজেও একই ধরনের ফোন পেয়েছেন এবং গালিগালাজের শিকার হয়েছেন।

এদিকে, কলকাতা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি জমা পড়েছে গার্ডেনরিচ থানায়। অভিযোগকারী সংগঠন শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ। তাঁদের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে অবমাননাকর এবং উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন ওয়াজাহাত খান।

২ জুনের তারিখে লেখা ওই চিঠিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৬(১)(এ), ২৯৯, ৩৫২, ৩৫৩(১)(সি) ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ও ৬৭ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, খান হিন্দুদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।

এই অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাদাত খান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন। এর ফলে জনশান্তি ব্যাহত হচ্ছে এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শত্রুতা বাড়ছে। অতএব, যাতে আর কোনও বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, তার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।

কলকাতা পুলিশ পরে এক বিবৃতি জারি করে জানায়, ‘ঘৃণাভাষণ এবং গালিগালাজকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে ভাবা ঠিক নয়।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে শর্মিষ্ঠা পানোলির গ্রেফতারিকে সমর্থন করেছে তারা।