মাথার উপর ঝুলছে খুনের মামলা। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট। তারপরও ভাবলেশহীন শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা। তাঁর কাণ্ডকারখানা দেখে রীতিমতো হতবাক তিহার জেল কর্তৃপক্ষ।
সেলের মধ্যে কখনও একা একা, আবার কখনও অন্য বন্দিদের সঙ্গে দাবা খেলছে সে। তিহার জেল সূত্রে খবর, আফতাবের সেলে চুরির অভিযোগে বন্দি রয়েছেন আরও দু’জন। এই দুই বিচারাধীন বন্দি দাবা খেলতে ভালোবাসে। কর্তৃপক্ষকে বলে তারাই সেলের মধ্যে দাবার বোর্ড নিয়ে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, খেলার সময় এদের একজনের মধ্যে মাঝে মধ্যে চাল দিয়েছে আফতাব। এছাড়া মাঝে মধ্যে নিজে একা দাবা খেলেছে।
২৮ বছরের আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাংশ রেখে দিয়েছিল ফ্রিজে। একটি একটি করে টুকরো নিকটবর্তী জঙ্গলে ফেলে আসত আফতাব। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। আদালত আফতাবকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তার পলিগ্রাফ এবং নারকো পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও জেলে এতটা ভাবলেশহীনভাবে কীভাবে থাকতে পারছে সে। দাবা ছাড়া আর কী কী সুবিধে জেলে সে পাচ্ছে, জেনে নিন।
আইন অনুযায়ী বন্দীর অধিকার আছে তার অধিকার সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার। তিনি তার অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। ১৪, ১৯ এবং ২১ ধারা অনুযায়ী বন্দীরা মৌলিক অধিকার পান। যার মধ্যে এই অধিকারগুলি প্রধান-
চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার।
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির অধিকার।
জামিন।
ভোট দেওয়ার অধিকার।
মজুরি।
আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার অধিকার।
নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য নয়।
বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার।
বিচারাধীন বন্দীদের জন্য সুবিধা।
পরিচিত এবং আত্মীয়দের সঙ্গে চিঠিপত্রের অধিকার।
পরিচিত এবং আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার অধিকার।
আইনজীবী বা তার লোকের সঙ্গে পরামর্শ করার অধিকার।
রেডিও, সঙ্গীত বা টেলিভিশনের মতো।
বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অধিকার।
শিক্ষার অধিকার।
সাংস্কৃতিক শিক্ষার অধিকার।