Kailash Mansarovar Yatra 2025 Through Nathu La: টানা সাত বছর পর আবারও সিকিমের নাথু লা পাস দিয়ে শুরু হতে চলেছে বহু কাঙ্ক্ষিত মানসরোবর কৈলাসযাত্রা। কেন্দ্রের সক্রিয় হস্তক্ষেপ এবং চিন সরকারের সম্মতিতেই এই যাত্রার পথ খুলে যাচ্ছে বলে জানায় সিকিম প্রশাসন। প্রথম ব্যাচের ৫০ জন পুণ্যার্থী চলতি মাসেই গ্যাংটকে পৌঁছাবেন, সেখান থেকেই যাত্রা শুরু হবে পবিত্র কৈলাসের উদ্দেশ্যে।
১৫ জুন গ্যাংটকে পৌঁছাবে প্রথম দল, ২০ জুন নাথু লা দিয়ে শুরু যাত্রা
সিকিম প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ব্যাচের ৫০ জন হিন্দু পুণ্যার্থী ১৫ জুন গ্যাংটকে পৌঁছাবেন এবং ২০ জুন তাঁরা নাথু লা সীমান্ত অতিক্রম করবেন। ওইদিন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ‘ফ্ল্যাগ অফ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
সিকিমের পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব সিএস রাও জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের জন্য চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং উচ্চতাজনিত সমস্যার সমাধানে সবরকম প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। গ্যাংটক ও নাথু লায় তৈরি হয়েছে ‘অ্যাক্লাইমেটাইজেশন সেন্টার’ যাতে পুণ্যার্থীরা উচ্চতায় মানিয়ে নিতে পারেন।
বহু বছর বন্ধ থাকার পর আবারও খুলছে পবিত্র রুট
২০১৭ সালের ডোকলাম সংঘাত, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষ এবং কোভিড অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল নাথু লা রুটের কৈলাসযাত্রা। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি চিন সফরে গিয়ে সেদেশের বিদেশসচিব সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বৈঠকে যাত্রাপথ পুনরায় চালুর অনুরোধ জানান। এরপরেই বেজিং সবুজ সংকেত দেয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরপরই সিকিম সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দেয় এবং সীমান্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
দুটি ধাপে মোট ১৫টি পুণ্যার্থী দল পাঠানোর পরিকল্পনা
সিকিম প্রশাসনের সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে ৫টি দল যাত্রা করবে, প্রতিটি দলে ৫০ জন করে পুণ্যার্থী থাকবেন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি দল যাবে একইভাবে।
প্রতিটি দলের যাত্রার আগে পুণ্যার্থীদের উচ্চতাজনিত শারীরিক সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট সময় গ্যাংটক ও নাথু লা-তে রাখা হবে।
কৈলাস যাত্রার রুট ও ট্রেকিং বিশদ বিবরণ
নাথু লা থেকে মানসরোবর পর্যন্ত দূরত্ব: প্রায় ১৫০০ কিমি
লিপুলেখ লা ট্রেকিং রুট: প্রায় ৩৫ কিমি
কৈলাস পরিক্রমা ট্রেকিং: পাহাড়ে প্রায় ৫২ কিমি হাঁটা লাগে, যা সাধারণত ৩ দিনে সম্পন্ন হয়। তবে শারীরিক সক্ষম পুণ্যার্থীরা ২ দিনেই শেষ করে ফেলতে পারেন।
এই ঐতিহাসিক যাত্রার তাৎপর্য
মানসরোবর-কৈলাস হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র।
বহু মানুষের বহু বছরের স্বপ্ন এই যাত্রা।
কেন্দ্র ও সিকিম সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় ফের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
সীমান্ত পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতাই এই যাত্রা পুনরায় চালুর মূল চাবিকাঠি।