
ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নিজে এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার ফলে তাঁদের রাজ্যের অগ্রগতি হবে, এই বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
এই নিয়ে ফেসবুক পোস্টও করেন মানিক সাহা। লেখেন, 'অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শ্রী সৌরভ গাঙ্গুলি জি আমাদের ত্রিপুরা ট্যুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। আজ তাঁর সাথে টেলিফোনিক কথোপকথন হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে শ্রী গাঙ্গুলিজির অংশগ্রহণ রাজ্যের পর্যটনকে অন্যমাত্রা যোগ করবে।'
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই সৌরভকে ত্রিপুরা পর্যটন ক্ষেত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব দেন সেই রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী। তিনি ফেসবুক পোস্টে জানান, তাঁরা আশাবাদী যে সৌরভ প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তাঁদের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন সৌরভ। যদিও এই বিষয়ে সৌরভের তরফে কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ১০-এ কারা, তাদের প্রাপ্ত নম্বর কত, কোন জেলার? দেখুন পূর্ণাঙ্গ তালিকা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা যায়, এবার থেকে Z ক্যাটেগরির (Z Category Security) নিরাপত্তা পাবেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশাসনিক স্তরে পর্যালোচনার পর সৌরভের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, শিগগিরই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আর তারপর থেকেই অনেকেই মনেই প্রশ্ন, কেন সৌরভকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, জেড ক্যাটাগরিতে উন্নীত হওয়ার জেরে সৌরভের বাড়িতে নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। সবসময় তাঁর সঙ্গে থাকবে একটি এসকর্ট কার। সৌরভ যেখানে যেথানে যাবেন সেখানেই ওই নিরাপত্তা আধিকারিকদের গাড়িটি যাবে। এছাড়াও আরও নিরাপত্তারক্ষী থাকবে বলেও খবর।
আরও পড়ুন : প্রেমের নামে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ-ধর্ষণ, 'The Kerala Story' দেখে যুবকের বিরুদ্ধে থানায় যুবতী
এই খবর চাউর হওয়ার পরই এবার জানা গেল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসাডর হচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রায় দেড় দশক বাদে গোটা দেশে সৌরভের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। খেলা ছাড়ার পর, ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ। বিসিসিআই-এর সভাপতিও ছিলেন। তিন বছর বিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে কাজ করার পর, বিসিসিআই-এর দায়িত্ব ছাড়তে হয় সৌরভকে।